কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ। সেটি কীভাবে ও কাদের উসকানিতে প্রাণঘাতী সংঘাতে রূপ নিল, তা অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে হবে। সব দায় কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়ে সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে না। যারা রাষ্ট্রীয় কিংবা বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস করেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু তদন্তের আগেই যখন সরকারের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে ঢালাওভাবে কারও ওপর দায় চাপানো হয়, তখন জনমনে সন্দেহ না জেগে পারে না।
বিরোধী দলের শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার (কাউকে কাউকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে) এবং হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা করা হচ্ছে, সেটাকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা কঠিন। বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদেরও সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা গেছে। অথচ মামলা করা হচ্ছে বেছে বেছে শিক্ষার্থী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এটা আইন নিজস্ব গতিতে চলার লক্ষণ নয়।