‘গোস্টিং’য়ের শিকারদের মানসিক অবস্থা কেমন হয় জানেন?

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৪:২২

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে আমার বন্ধু নীল (ছদ্মনাম) এক মেয়েকে ভালোবাসত। দুজনেই সমবয়সী। সেই মেয়ের অন্য এক লোকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায়। নীল তখনো ছাত্র, চাকরি হয়নি। সেই সময় নীল মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। পরের তিন বছরে সে আর কোনো সম্পর্কে জড়াতে পারেনি। একদিন আমার আরেক বান্ধবী মননের (ছদ্মনাম) সঙ্গে নীলের প্রথমে মেসেঞ্জারে, তারপর হোয়াটসঅ্যাপ কথা হয়। এরপর কয়েকবার কফি শপে দেখা করে কথাবার্তা হয়েছে। মননকে ভালোবেসে ফেলে নীল। মননের ভাবসাব দেখে নীলের মনে হতো, সেও হয়তো মনে মনে তাঁকে পছন্দ করে। একদিন সাহস করে মননকে মনের কথা জানিয়ে দেয় নীল।


সেই মেসেজ ‘সিন’ হয়েছিল। কিন্তু কোনো জবাব আসেনি। এর পর থেকে নীলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় মনন। মেসেজের উত্তর দেওয়া দূরে থাক, সিনও করত না। ফোনও ধরত না। মননের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওদিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়ে নীল। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ, সময় কাটানো, আড্ডা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। পুরোপুরি অফিসে মন দেয়। ‘মার্চেন্ডাইজার’ হিসেবে সে দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে অফিস করে। বাবা, মা বা ভাই ফোন করলেও তার কথা বলতে ইচ্ছা করে না।


সম্প্রতি নীলের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল। জানা গেল, মননের ঘটনার পর দুই থেকে তিনজন মেয়ের সঙ্গে তার অনলাইনে যোগাযোগ হয়েছে। কয়েক দিন কথা হয়েছে। তবে তারা সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী হলেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে নীল। কথাবার্তা আর এগোয়নি। অফিসে তার পদোন্নতি হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা সামাজিক জীবন বলে তার আর বিশেষ কিছু অবশিষ্ট নেই। এই মুহূর্তে নতুন করে আর কোনো সম্পর্কে জড়ানোর বা বিয়ের কোনো ইচ্ছাই তার নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও