স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি হিমাগারে পাঠানোর দায় কার

প্রথম আলো সৈয়দ আব্দুল হামিদ প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৩

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের উদ্যোগে ২০১২ সালে প্রণীত ২০ বছর মেয়াদি স্বাস্থ্য খাতের অর্থায়ন কৌশলপত্র অনুযায়ী দারিদ্র্যসীমার নিচের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য খরচের ঝুঁকি মোকাবিলা করে অতিদরিদ্রে পতিত হওয়া রোধ করতে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল ও মধুপুর উপজেলায় সামাজিক স্বাস্থ্যবিমার অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) চালু করা হয়।


সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ কর্মসূচির অধীন নিবন্ধন করা প্রতিটি পরিবার বছরে ৫০ হাজার টাকার ইনপেশেন্ট চিকিৎসা (হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যে সেবা নিতে হয়) সুবিধা পায়। এ কর্মসূচির অর্থায়নের জন্য ‘স্বাস্থ্য অর্থায়ন অপারেশনাল প্ল্যান’-এর আওতায় পরিবারপ্রতি বছরে ১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার, যা স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের এসএসকে সেলের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করা হয়।


এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ বঙ্গবন্ধুর মানবকেন্দ্রিক চিন্তার প্রতিফলনেরই অংশবিশেষ।


এ কর্মসূচি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সব নাগরিকের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা চালুর ঘোষণার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।


বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, এ কর্মসূচি উপকারভোগীদের বিপর্যয়মূলক স্বাস্থ্য ব্যয়ের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতের চতুর্থ সেক্টর প্রোগ্রামের ব্যাপ্তিকাল শেষ হওয়ায় এবং সময়মতো পঞ্চম সেক্টর প্রোগ্রামের কার্যক্রম শুরু করতে না পারার জন্য ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এই কর্মসূচির সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, পঞ্চম সেক্টর প্রোগ্রামে এ কর্মসূচির অর্থায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু তা শুরু হতে ৬ থেকে ১২ মাস লাগতে পারে। তাই আপাতত এ কর্মসূচি হিমাগারে স্থান পেয়েছে। মনে রাখা দরকার, বন্ধের সময়ে এ কর্মসূচির উপকারভোগীরা হাসপাতালে এসে এক দিকে যেমন কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে না, অন্যদিকে তারা আস্থা হারাবে। আস্থা ফিরিয়ে আনা বেশ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ।


এটা রাস্তা, ব্রিজ বা কোনো কনস্ট্রাকশন (নির্মাণ) প্রকল্প নয় যে বন্ধ করে ছয় মাস কিংবা এক বছর পর চালু করলে তেমন সমস্যা হবে না। আসলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো সামাজিক কর্মসূচি বিকল্প অর্থায়নের মাধ্যমে হলেও চালু রাখতে হয়। কিন্তু কেন এমন হলো এবং কারা এ অবস্থার জন্য দায়ী?


শুরুতে একটু ভারতের প্রসঙ্গে আসা যাক। ভারত দরিদ্র মানুষের ইনপেশেন্ট স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ২০০৮ সালে ‘রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনা’ নামে স্বাস্থ্য খাতে একটি সোশ্যাল সেফটিনেট কর্মসূচি শুরু করে। এর অধীনে কোনো প্রিমিয়াম প্রদান ছাড়া প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে বছরে ৩০ হাজার ভারতীয় রুপি সমমূল্যের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।


এ কর্মসূচির অভিজ্ঞতার ওপর ভর করে ২০১৭ সালে ভারতে ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনা’ নামে একটি সামাজিক বিমা কর্মসূচি চালু হয়। এটা পুরো বিশ্বে সবচেয়ে বড় সামাজিক বিমা কর্মসূচি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও