যুক্তরাষ্ট্রের ‘তিব্বত আইন’ কি চীন-ভারতকে মুখোমুখি করছে

প্রথম আলো এম সাখাওয়াত হোসেন প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৪:৫৩

পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ভারতের প্রথম ও টানা তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী দুনিয়া তখন দুটি বলয়ে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একটি বলয়ের নেতৃত্বে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, অন্য বলয়ের নেতৃত্বে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। 


নেহরু এই দুটি বলয় থেকে সমান দূরত্ব বজায় রাখার জন্য জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সর্বাংশে সে অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি। তিব্বতকে ঘিরে সিআইএ তথা যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার কারণে শেষ পর্যন্ত জোটনিরপেক্ষ নেহরুর পক্ষেও নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব হয়নি। 


তিব্বতের কথিত শাসক ও ধর্মগুরু তেনজিন গিয়াৎসো (চতুর্দশ দালাই লামা) যখন ১৯৫৯ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার এজেন্সিতে (নেফা) (বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশ) প্রবেশ করেন এবং পরবর্তী সময়ে ভারতে আশ্রয় নেন, তখন থেকেই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে ভারতের উষ্ণতায় ভাটা পড়তে শুরু করে। 


ব্রিটিশ রাজের নির্ধারিত পশ্চিমের জনসন লাইন এবং পূর্বের ম্যাকমোহন লাইন বলে পরিচিত সীমান্তের ঐতিহাসিক অধিকার নিয়ে একসময়কার ‘হিন্দি-চীনা ভাই ভাই’ সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তা সামরিক সংঘাতের দিকে গড়ায়। উত্তেজনা প্রশমনে ভারতের সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী নেহরুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও চীনের নেতা চৌ এনলাই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। 


১৯৬০ সালে দিল্লি সফরে এসে চৌ এনলাই তিব্বত ইস্যু সামনে এনে দুই দেশের সীমান্ত বিভেদ, বিশেষ করে পশ্চিম সীমান্তের উত্তেজনা কমাতে একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময়কার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অতি চাহিদার কারণে চৌ এনলাইয়ের প্রস্তাবটি নেহরু নাকচ করতে বাধ্য হন। এর পরে ভারতের কিছু উচ্চাভিলাষী পরামর্শকের কারণে দুদেশের মধ্যে প্রায় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। 


১৯৬২ সালের ২০ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই যুদ্ধে চীন পশ্চিম রণাঙ্গনে আকসাই চীনের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি দখল করে নেয়। একই সঙ্গে তারা পূর্ব সীমান্তে আসামের পূর্ব পর্যন্ত দখল করে একতরফা যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।


ভারতের কাছ থেকে হাতছাড়া হওয়া আকসাই চীন আজও চীনের দখলে রয়েছে। সেখানে দুই দেশের সীমান্তরেখা টানা হয়েছে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (এলএসি) মাধ্যমে। ১৯৬২ সালের ওই যুদ্ধে ভারতের ব্যাপক পরাজয় শুধু নেহরুর জন্যই নয়, ভারতের জন্য আজ অবধি মানসিক পীড়ার কারণ হয়ে রয়েছে। 


ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে চীন এখনো নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওই অঞ্চলে সফর নিয়ে চীন কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য অঞ্চলটি ভারতের নয়, চীনের অংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও