জাল দলিলে বেহাত জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্লট
জাল দলিলে বেহাত হচ্ছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) একের পর এক প্লট। নথি ও কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে সরকারি জমি ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশনও করে দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকার বিপুল রাজস্ব হারালেও পকেট ভরছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। অভিযোগ উঠেছে, এই চক্রে আছেন জাগৃকের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীও।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাগৃকের রাজধানীর মিরপুর হাউজিং এস্টেটের প্লটের ক্ষেত্রে ঘটছে এই জালিয়াতি। গত কয়েক মাসে ছয়-সাতটি প্লটের নথি জালিয়াতির কারণে বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। জাগৃকের ভূমি শাখার এসব ঘটনা তদন্তে কমিটিও করেছে মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মিরপুর হাউজিং এস্টেটে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ একর জমি রয়েছে। এসব জমিতে কয়েক হাজার প্লট রয়েছে। স্বাধীনতার আগে থেকে সেখানে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও অনেক প্লট এখনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। খালি প্লটের অনেকগুলো দখল করে লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। এমন প্লটের নথি জাল হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরও জাল করা হচ্ছে। নথি জালের মাধ্যমে এ পর্যন্ত কত প্লট বরাদ্দ বা রেজিস্ট্রি করে ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দিয়ে চক্রটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তা জানা যায়নি।