![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.ajkerpatrica.net/contents/cache/images/720x0x1/uploads/media/2024/06/20/4b9265421dc2d762bcd631fb25c98225-66738f3f5aa9d.jpg)
এই বর্ষায় বরিশাল
এই বর্ষায় বরিশাল
অসংখ্য নদ-নদী-খাল ছড়িয়ে আছে দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে। নদীর রূপ দেখতে হয় বর্ষায়। এ জন্য আদর্শ গন্তব্য হতে পারে প্রাচ্যের ভেনিস বরিশাল। পুরো জেলায় দেখার অনেক কিছু থাকলেও এখানকার মূল আকর্ষণ পেয়ারাবাগান ও ভাসমান সবজির চারা উৎপাদনপদ্ধতি দেখা। লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
বরিশালের পেয়ারাবাগান। ছবি: লেখকের সৌজন্যেপেয়ারাবাগান
ছোট ছোট খাল। স্থানীয়রা বলে ভারানি। এই ভারানিতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ আছে। এগুলো দেখতে অনেকটা সুন্দরবনের খালের মতো। স্বরূপকাঠির আটঘর কুরিয়ানায় গেলে এমন ভারানির দেখা মিলবে। ছোট খাল মিশেছে বড় খালে। এমন অনেক খাল যেখানে মিশেছে, সেখানেই বসে ভাসমান পেয়ারার হাট। শুধু পেয়ারা নয়, শাকসবজি-ফলমূলও বিক্রি হয় সেখানে। গৃহস্থের ঘরে উৎপাদিত তাজা সবকিছু। জানা যায়, ভাসমান হাটের বয়স দেড় শ বছর পেরিয়ে গেছে।
পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল আর সতীশ চন্দ্র মণ্ডল। দুজনের বাড়ি ছিল আন্দাকুল গ্রামে। আত্মীয়স্বজন থাকত ভারতের গয়ায়। একবার সেখান থেকে আসার সময় পেয়ারার বীজ নিয়ে আসেন। সেই বীজ রোপণ করলে চারা হয়। ক্রমে সেই গাছে উৎপাদিত পেয়ারা পূর্ণমণ্ডলী পেয়ারা নামে পরিচিতি পায়। এটা প্রায় ২০০ বছর আগের ঘটনা। এভাবেই পূর্ণচন্দ্র মণ্ডলের হাত ধরে এই এলাকায় পেয়ারার চাষ শুরু হয় বলে কথিত আছে।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- বরিশাল
- বর্ষা
- বর্ষাবরণ উৎসব