গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় গেলেই শুরু পুলিশের বাণিজ্য
শরীয়তপুরের পালেরচরের লিপি আক্তার বিয়ে করেছিলেন কুমিল্লার দেলোয়ারকে। কিন্তু দেলোয়ারের যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। নির্যাতন সইতে না পেরে গত বছরের শেষ দিকে শরীয়তপুরের আদালতে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা করেন এক কন্যার মা লিপি।
ওই মামলায় চলতি বছর দেলোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কিন্তু তিন মাস পরও সেই পরোয়ানা পৌঁছায়নি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায়। তবে ভুক্তভোগী লিপি আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, আদালত থেকে পরোয়ানা থানায় পৌঁছালেও দেলোয়ার ও তাঁর বাবা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামান আলী প্রভাব খাটিয়ে পরোয়ানা গায়েব করে দিয়েছেন। পুলিশ তাঁদের ধরছে না। পুলিশের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, বিয়ের সময় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন দেলোয়ার। পরে তাঁকে চাপ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাঁর বাবার কাছ থেকে অনেক টাকা আনিয়েছেন। পরোয়ানার খোঁজে তিনি এখনো থানায় ঘুরছেন।
লিপির অভিযোগ অস্বীকার করে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘এই অভিযোগ সত্য নয়। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না।’