নৃশংসতা এবং তা প্রত্যক্ষ করার সহনশীলতাও বাড়ছে কেন?

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৪, ১২:৪৮

আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন গত কয়েক বছরে দেশের অপরাধ জগতে বা অপরাধের ধরনে-ধারণে অস্বাভাবিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে কারণে-অকারণে বা তুচ্ছ কারণে হত্যা করার পরিমাণ। এর চাইতেও ভয়াবহ ও আশংকার কথা হলো এ কাজে সংশ্লিষ্ট শিশু-কিশোর ও তরুণদের সংখ্যাও বাড়ছে। ক্রুর থেকে ক্রুরতর হচ্ছে অপরাধের প্রক্রিয়া, বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের প্রক্রিয়া।


আগে গুলি করে, শ্বাসরোধ করে বা বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হতো। আজকাল এই সাদামাটাভাবে মানুষ মেরে আর শান্তি পাচ্ছে না অপরাধীরা। এমনভাবে হত্যা করছে যাতে খবরটি ভাইরাল হয়, নৃশংসতার উদাহরণ হয়ে ওঠে। তাই সংসদ সদস্য আজিমকে হত্যার পর অবলীলায় মরদেহ গুমের জন্য হাড্ডি থেকে মাংস আলাদা করেছে, আলাদা আলাদা ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, মরদেহের টুকরো নিয়ে যাওয়ার সময় আটকালে কেউ যাতে বুঝতে না পারে, এজন্য মসলা মিশিয়ে ‘খাবার উপযোগী’ মাংসের মতো করা হয়েছে বলে খবরে দেখলাম। যদিও তার মৃত্যু ও মরদেহের স্ট্যাটাস নিয়ে বিতর্ক চলছে।


কয়েক মাস আগে আনারকলি নামে ২০ বছরের ফুটফুটে একটি মেয়ে শ্বশুরের কাটা মাথা নিজের ব্যাগে বহন করছিল সমুদ্রের পানিতে ফেলে দেবে বলে। অথচ একজন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এরকম একটা দৃশ্য ভাবলেও গা গুলিয়ে ওঠার কথা। পরে সেই মাথা আনারকলি ফেলে দিয়েছিল চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায়। সম্পত্তি ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে খুন হন ব্যবসায়ী, তার সন্তানদের হাতে। হত্যার আলামত গায়েব করতে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানরা ১০ টুকরো করেছিল হাসান আলীর দেহ। সেখানেই থেমে থাকেনি তারা, পরে নগরীর তিনটি স্থানে ফেলে দিয়ে আসা হয় তার দেহের বিভিন্ন অংশ। লাশ গুম করার এই ভয়াবহ ঘটনা যে কোনো অপরাধ থ্রিলারকে হার মানিয়েছে।


অন্ধকার যুগকে আমরা চিহ্নিত করি ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’র যুগ বলে। সেসময় মানুষ নানাধরনের কুসংস্কার, অনাচার, অবিচার, পাপ কাজ করতো। তুচ্ছ কারণে মানুষ মানুষকে হত্যা করতো, মেয়ে শিশুকে জীবন্ত মাটিচাপা দিতো। সেই যুগের কিছু বৈশিষ্ট্য কি আমরা সভ্যতার এই লগ্নে দাঁড়িয়ে আবার দেখতে পারছি না? আদিম যুগেও মানুষের মধ্যে নৃশংসতা ও বর্বরতা ছিল, তবে সেটা ছিল নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সেটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে নানাভাবে। আমরাও অনেকটাই সভ্য হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ পটপরিবর্তিত হচ্ছে কেন?


কেন এই সময়ে এসে আমরা আবার সেই জাহেলিয়াতের যুগে ফিরে যাচ্ছি? আমরা কি আজকাল খুব বেশি হারে ভয়ংকর অপরাধ থ্রিলার দেখছি? নাকি জীবনের নেতিবাচক সত্তা এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছে যে ভয়াবহ কাজ করতে হাত কাঁপছে না? লোভ, মাদক দ্রব্য, উদ্ধত আচরণ মানুষকে এতটাই ভয়ংকর করে তুলেছে যে টাকার জন্য তারা সবকিছু করতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও