রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া খেলাপিদের ধরা অসম্ভব
‘সরকার ঋণখেলাপিদের ধরতে চায়। এবার ঋণখেলাপিদের ধরা হবে।’ সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে এমন কথা বলা হচ্ছে। এর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নানামুখী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের ধরার কাঠামোও তৈরি করা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এর প্রয়োগ শুরু হবে। এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, ঋণখেলাপিদের ধরতে হলে সবার আগে লাগবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা। রাজনৈতিক সদিচ্ছা বা রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া ঋণখেলাপিদের ধরা সম্ভব হবে না। এছাড়া ঋণখেলাপিদের ধরতে হলে বর্তমানে প্রচলিত আইনেও অনেক পরিবর্তন আনতে হবে। ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, ঋণখেলাপিদের ধরতে আলাদা আদালত বসাতে হবে। এজন্য সৎ ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকারদের অভয় দিতে হবে। তাদেরও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ঋণ বিতরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে। যাতে নতুন ঋণ খেলাপি হতে না পারে।
খেলাপি ঋণ আদায় বাড়ানো এবং ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা সোমবার যুগান্তরের কাছে এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছেন, ‘ঋণখেলাপিদের ধরতে চাই, তাদের ধরব।’ এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণের আদায় বাড়াতে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরই আলোকে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর প্রয়োগ ১ জুলাই থেকে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে। কিন্তু আইনে যে বিধিবিধান রাখা হয়েছে, এর আলোকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্ত করতে কমপক্ষে ৫ মাস সময় লাগবে। এর মধ্যে ব্যাংকগুলো ঋণখেলাপির সঙ্গে চিঠি চালাচালি শুরু করলে এর বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে গিয়ে কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, খেলাপি ঋণ আর বাড়বে না। ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু তারপরও খেলাপি ঋণ বেড়েছে। আইনের আওতায় আসেনি ঋণখেলাপিরা।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- খেলাপি ঋণ
- ঋণ আদায়