বিশেষ শিশুদের ভবিষ্যৎ কী
আমি প্রতিদিন বাবিকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে অফিসে যাই। স্কুলের কম্পাউন্ডে ঢুকি না। ছুটির সময়ও আমি বাইরেই থাকি। কারণ ওখানে ২০ বছরের ছেলেরাও ভাষাহীন চোখে তাকিয়ে থাকে। দোলনায় দোল খায়। ছুটির সময় মা আসতে দেরি করলে চিৎকার করে কাঁদে। এই অভয়ারণ্যে শিশুরা জীবনচর্চা শেখার অনুশীলনে ব্যস্ত।
যদিও সম্ভাবনার গণ্ডি সীমিত; তবুও বাবা, মা, শিক্ষকেরা মিলে চেষ্টা করেন তার জীবনচর্চাটাকে সহজ করার জন্য। আমার যা বোঝার বোঝা হয়ে গেছে। আমি কেবল বাবিকে নামিয়ে দিই আর নিয়ে আসি। শুধু বলেছি, আমার বাবি যেন আদরে থাকে, আমার আর কোনো প্রত্যাশা নেই আপনাদের কাছে।