সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান শিক্ষাবিদরা, বিরোধী আমলারা
দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে সরকারি চাকরি। সুযোগ-সুবিধা ও নিশ্চয়তা বিবেচনায় নিচের গ্রেডের চাকরির জন্যও ঝাঁপিয়ে পড়ছেন উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা। এর মধ্যে অনেকে বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও থেকে যাচ্ছেন বেকার। তাদের বড় একটি অংশ কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের দাবি—বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা হোক।
এ দাবির সঙ্গে একমত দেশের শিক্ষাবিদরা। তারা চান ৩৫ না হোক অন্তত ৩২ হলেও করা হোক। আর আমলারা বলছেন, সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা করলে বেকার সমস্যা ভয়াবহ রকম বাড়বে।
সরকার ৩৫ প্রত্যাশীদের দাবি পূরণে সেভাবে কখনই আগ্রহ দেখায়নি। উল্টো এ দাবিতে আন্দোলনে নামাদের লাঠিপেটা ও ব্যাপক হারে গ্রেফতার করে দমিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বয়সসীমা বাড়াতে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনাও হয়। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে সরকারপ্রধানের সাড়ার অপেক্ষায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।