রক্ত পানি করা টাকা চুষে খাচ্ছে বিমা কোম্পানি
হাড়ভাঙা পরিশ্রমে আয় করা অর্থ দিয়ে একটি জীবন বিমা কোম্পানিতে বিমা পলিসি কেনেন ভ্যানচালক মো. জুয়েল হোসেন। মাসিক ১০০ টাকা প্রিমিয়ামের বিমা পলিসিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জমানো টাকা পেতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকে। বিমার টাকা পেতে মাসের পর মাস ধরনা দেন বিভিন্ন মহলে। দীর্ঘদিন দ্বারে দ্বারে ঘুরে এক পর্যায়ে হাতে পান বিমার টাকা। তবে নিয়মিত বিমা পলিসির টাকা জমা না দেওয়ার কারণে এ গ্রাহক মেয়াদ শেষে পেয়েছেন মাত্র দুই হাজার ৫৩২ টাকা। সামান্য এ টাকা তুলতেই তাকে প্রায় দুই বছর ধরনা দিতে হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা জুয়েল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ভ্যান চালিয়ে উপার্জন করা টাকা অল্প অল্প করে জমিয়ে বিমা করি। হাতে টাকা না থাকায় বিমা প্রিমিয়ামের টাকা ঠিক মতো পরিশোধ করিনি। যে টাকা জমা দিয়েছিলাম, সেটা ফেরত পেতে যার মাধ্যমে বিমা করি তার পেছনে প্রায় দুই বছর ধরে ঘুরেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছিল না। বিভিন্ন মাধ্যমে কোম্পানিতে যোগাযোগ করার পর সম্প্রতি দুই হাজার ৫৩২ টাকার চেক পেয়েছি। অথচ আমি বিমা কোম্পানিতে এর চেয়ে বেশি টাকা জমা দিয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করতে গিয়ে আরও এক-দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে।