রিজার্ভের চেয়েও আলোচনার বড় ইস্যু হয়ে উঠতে পারে রফতানির অপ্রত্যাবাসিত অর্থ
গত দুই দশকের বেশি সময় (২০০১-০২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত) অধিকাংশ অর্থবছরেই আর্থিক হিসাবের (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট) উদ্বৃত্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) দেশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে দেখা গেছে বড় অংকের ঘাটতি, যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আরো স্ফীত হয়েছে। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে ট্রেড ক্রেডিটের নিট ঘাটতি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত রফতানির বড় অংকের অর্থ অপ্রত্যাবাসিত থেকে যাওয়ার কারণেই ট্রেড ক্রেডিটের ঘাটতি বাড়ছে, যা প্রকারান্তরে আর্থিক হিসাবের ঘাটতিকেও বাড়িয়ে তুলছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আসন্ন রিভিউ মিশন চলাকালে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ছাপিয়ে আলোচনার মূল ইস্যু হয়ে উঠতে পারে রফতানিতে বড় অংকের অপ্রত্যাবাসিত অর্থ।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের আগে একটি রিভিউ মিশন ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে ৮ মে পর্যন্ত। মিশনটি ঋণ কর্মসূচির আওতায় থাকা বিভিন্ন মানদণ্ড, লক্ষ্যমাত্রা ও মাপকাঠি পূরণের পাশাপাশি সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। এ মিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড় করবে আইএমএফ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ সময়ে নিট রিজার্ভ ছাড়া আইএমএফের বাকি সব শর্তই পূরণ হয়েছে। গত ডিসেম্বর ও মার্চে পরপর দুই প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি-মার্চ) শেষে সংস্থাটির সংশোধিত লক্ষ্য অনুযায়ী রিজার্ভ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়নি। এ ঋণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে কখনই আইএমএফের লক্ষ্য অনুযায়ী রিজার্ভ সংরক্ষণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।