২৯ বছর বয়সেই চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসরে তিনি, নিজের জীবন থেকে দিলেন ৫ পরামর্শ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০২

ড্যানিয়েল জর্জ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছিলেন ২০১৫ সালে। দুই বছর পর স্নাতকোত্তর শেষ হতেই জমানো এক হাজার মার্কিন ডলার স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেন। ২০১৮ সালে যখন পিএইচডি শেষ হয়, তখন তাঁর বয়স ২৪ বছর। সে বছরই গুগল এক্সে (বর্তমানে এক্স ডেভেলপমেন্ট) যোগ দেন। মেশিন লার্নিং রেসিডেন্ট পদে উপার্জিত টাকার বড় অংশই তিনি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেন। ২০২০ সালে গুগল এক্সের চাকরি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবা হোল্ডিং সংস্থা জেপি মরগান চেজ অ্যান্ড কোং-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। সেই বছরেরই শেষ দিকে তাঁর বিনিয়োগ মূল্য ছাড়িয়ে যায় ১০ লাখ ডলার। ঠিক এখান থেকেই সাফল্যের মূল সিঁড়ির খোঁজ পেয়ে যান ড্যানিয়েল। যার দৃশ্যমান ফল ২০২৩ সালে জেপি মরগান তথা প্রথাগত কর্মজীবন থেকে তাঁর আনুষ্ঠানিক অবসর গ্রহণ।


ড্যানিয়েল জর্জ বলেন, ‘২০২৩ সালে এসে যুক্তরাষ্ট্রে আমার বাৎসরিক খরচ দাঁড়ায় আমার মোট বিনিয়োগের মাত্র দুই শতাংশ। ফলে আমি চাকরি ছেড়ে দিই।’


এ হচ্ছে ড্যানিয়েল জর্জের সাফল্যের সারসংক্ষেপ। বিশদে বলতে গিয়ে তিনি পাঁচটি পরামর্শের কথা উল্লেখ করেছেন:


১. এড়িয়ে চলুন শিক্ষাঋণ: অনেকেই, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের তরুণেরা উচ্চশিক্ষার্থে বিভিন্ন উৎস থেকে শিক্ষাঋণ নিয়ে থাকেন। ফলে শিক্ষাজীবন থেকেই ভবিষ্যৎ ঋণশোধের একটা চাপ তৈরি হয় এবং এই চাপ উপার্জন, সঞ্চয় ও বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিক্ষাঋণ এড়াতে কেরালার স্বল্প আয়ের পরিবারে বেড়ে ওঠা ড্যানিয়েল পড়াশোনা করেছেন সরকারি স্কুল ও কলেজে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বোম্বের ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে প্রকৌশল ও পদার্থবিদ্যা নিয়ে যখন পড়েছেন, তখন তাঁর টিউশন ফি ও থাকা-খাওয়াসমেত বার্ষিক খরচ ছিল সাকল্যে ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার। এরপর স্নাতকোত্তরের জন্য সরাসরি আবেদন করেন আমেরিকার আরবানা-শ্যাম্পেইনের ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে তাঁর টিউশন ফি মওকুফ ছিল। সেই সঙ্গে মাসে দুই থেকে তিন হাজার ডলার শিক্ষাবৃত্তি পেতেন। ২০১৫ সালে ভর্তি হয়ে একদম নিখরচায়, ২০১৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এতে তাঁর সময় ও টাকা দুটোই বেঁচে যায়।


২. তরুণ বয়সেই বিনিয়োগের অভ্যাস করুন: ড্যানিয়েল মনে করেন, রোজগার শুরু করার পর থেকেই বিনিয়োগ করার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। অল্প উপার্জন হলে অল্প বিনিয়োগ। কিন্তু অভ্যাসটা গড়ে নিতে হবে। পিএইচডি করার সময় খণ্ডকালীন কাজ আর বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিতে গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ করে টাকা রোজগার করতেন ড্যানিয়েল। এর অধিকাংশই তিনি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা শুরু করেন। এরপর ২০১৮ সালে গুগল এক্সে চাকরির সুবাদে প্রাপ্ত বেতন থেকে যে সঞ্চয় করতেন, তার পুরোটাই বিনিয়োগ করতেন। সুতরাং অল্প বয়সে আর্থিকভাবে সফল হতে—টাকার অঙ্ক যা-ই হোক, বিনিয়োগ করতে হবে। স্টক মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ হলে দেশীয় প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিমুক্ত কোনো লাভজনক ক্ষেত্র বেছে নেওয়া যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও