কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যে ছয়টি রোজায় এক বছরের রোজার নেকি মেলে

প্রথম আলো শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬

শাওয়াল মাস ইসলামি হিজরি আরবি দশম চান্দ্রমাস। এই মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর। এই মাস হজের তিন মাসের প্রথম মাস। তাই এই মাস বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। 


শাওয়াল মাসের আমল তাকওয়াকে শাণিত করে। এই মাসের ইবাদত আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি অর্জনে সাহায্য করে; পরিপক্বতা ও স্থিতিশীলতা লাভে সহায়ক হয়।


রমজানে পূর্ণ মাস রোজা পালন করা ফরজ আর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত। 


আল্লাহ তাআলা কোরআন মজিদে বলেন, ‘যখন তুমি (ফরজ দায়িত্ব পালন থেকে) অবসর হবে, তখন (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) তোমার রবের প্রতি মনোনিবেশ করো।’ (সুরা-৯৪ ইনশিরাহ, আয়াত: ৮) 


শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা রমজানে রোজা পালন করল এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখল; তারা যেন সারা বছরই রোজা পালন করল।’ (মুসলিম: ১১৬৪; আবুদাউদ: ২৪৩৩; সহিহ্ আলবানি) 


কারও যদি রমজানের রোজা কাজা থাকে, তা শাওয়াল মাসের ছয়টি সুন্নত রোজা পালনের আগে বা পরে আদায় করা যায়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘(রমজান মাসে) তোমাদের মধ্যে যে (যত দিন) অসুস্থ থাকবে কিংবা সফরে থাকবে, সে (রমজানের পরে) অন্য দিনগুলোতে (তত দিন) রোজা পালন করবে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৪) 


তাই যাঁরা সফরের ক্লান্তির কারণে কিংবা অসুস্থ থাকার কারণে রমজানের সব রোজা রাখতে পারেননি অথবা যে নারীরা প্রাকৃতিক কারণে যে কয়টি রোজা পালন করতে পারেননি; তাঁরা সেগুলো রমজানের পর অন্য সময়ে আদায় করে নেবেন। 


আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর যুগে ঋতুমতী হতাম; তখন আমাদের এই রোজা পরে কাজা আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হতো; কিন্তু নামাজ কাজা আদায় করার কথা বলা হতো না (ওই অবস্থায় নামাজ মাফ)।’ (বুখারি ও মুসলিম; মিশকাত: ২০৩২) 


রমজানের কাজা রোজা পরবর্তী রমজান মাস আসার পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় আদায় করা যাবে। রমজানের কাজা রোজা রাখার জন্য যথেষ্ট সময় থাকলে তার আগে যেকোনো প্রকার ওয়াজিব, সুন্নত বা নফল রোজা রাখা যাবে। যেমন ফরজ নামাজ আদায় করার পূর্বে সময় থাকলে নফল নামাজ আদায় করা যায়। সুতরাং শাওয়ালের ছয়টি সুন্নত রোজা রমজানের কাজা রোজা আদায়ের আগেও রাখা যাবে। তবে সম্ভব হলে আগে ফরজ রোজার কাজা আদায় করা উত্তম। (ফাতাওয়া ইসলামিয়া, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ১৬৬) 


হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমার ওপর রমজানের যে কাজা রোজা বাকি থাকত; তা পরবর্তী শাবান ব্যতীত আমি আদায় করতে পারতাম না।’ (বুখারি: ১৯৫০; মুসলিম: ১১৪৬) 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও