প্রতিষ্ঠানগুলো কেন ডোবে?

বিডি নিউজ ২৪ শিশির ভট্টাচার্য্য প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২২

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের ইচ্ছে হলো, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট’ নামে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে তুলবেন। তাঁর মনে হয়েছিল কিংবা তাঁকে বোঝানো হয়েছিল, সারা বিশ্বের মৃতপ্রায় বা হারিয়ে যাওয়া মাতৃভাষাগুলোকে রক্ষা ও উন্নয়নের কাজে এমন একটি প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখতে পারবে। উদ্দেশ্য মহৎ সন্দেহ নেই। আমাদের দেশে সরকার বাহাদুরের উদ্যোগে এ ধরনের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা অভিনব বটে। এমন ইনস্টিটিউট যে পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।


শিব গড়তে বানর। ১৯৯৬-২০২৪ পর্যন্ত প্রায় তিন দশকে উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানটি উচ্চতায় এবং কলেবরে বেড়েছে, কিন্তু কাজেকর্মে বাড়েনি। দুই বছর আগেও, বর্তমান মহাপরিচালক দায়িত্ব নেবার আগে পর্যন্ত, এই ইনস্টিটিউট ছিল ‘এমন একটা গাড়ির মতো যার একমাত্র হর্নটা ছাড়া আর সব কিছুই বাজে!’ ভাষা, ভাষা-সংরক্ষণ, গবেষণা, অনুবাদ ইত্যাদি যা কিছু অবশ্য-কর্তব্য ছিল এই প্রতিষ্ঠানের, তার বিশেষ কিছুই হয়নি। প্রতি একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে একটি স্মরণিকা হয়তো প্রকাশিত হয়েছে কিছু নিম্নমানের ফরমায়েশি লেখা দিয়ে এবং সেগুলোর বেশিরভাগ ইনস্টিটিউটের গুদামে উইয়ে কেটেছে। একটি তথাকথিত ভাষা জাদুঘর করা হয়েছিল, যেটাকে খুব বেশি হলে একটি পোস্টার সংগ্রহ বলা যেতে পারে। ভাষা সংরক্ষণের নামগন্ধ নেই, সে ক্ষমতাও নেই, কারণ প্রায় তিন দশক ধরে একটি ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ এবং পাঁচ দশক ধরে একটি আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থাকা সত্ত্বেও ভাষা এবং ব্যাকরণ নিয়ে কাজ করার মতো শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত ব্যক্তি বাংলাদেশে তৈরি হয়নি।


বর্তমান মহাপরিচালক দায়িত্ব নিয়েই এই প্রতিষ্ঠানকে তার প্রকৃত রূপ দেবার চেষ্টা করেছেন। ভাষা অভিধান, অনুবাদ, মাতৃভাষাপিডিয়া ইত্যাদি অপরিহার্য এবং ইতিবাচক উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন না শোনে জ্ঞানচর্চার কাহিনী। গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের একটা বিশেষ চরিত্র ও মেজাজ থাকে। বাঙালি এমন কিছু জ্ঞানমুখী, গবেষণা-প্রবণ জাতি অবশ্যই নয়। রাতারাতি আমাইতে গবেষণার ঝড় বয়ে যাবে, এমনটা আশা করা ঠিক নয়। কিন্তু অধঃপতনেরও একটা সীমা আছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই) নামক প্রতিষ্ঠানটি আজ নেহায়েতই শিক্ষামন্ত্রণালয় কিংবা সচিবালয়ের পিকনিক স্পট, রঁদেভুর স্থান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও