‘অ্যাডাল্ট গ্যাং’-সমাচার
গত রোববার (৩১ মার্চ) আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত আমার লেখা ‘কিশোর গ্যাং: সমস্যার গভীরে একনজর’ উপসম্পাদকীয় পাঠ করে ফোন করেছিলেন আমার সাবেক বস তাজুল ইসলাম। তিনি খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর প্রেস সচিব ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়া গ্রুপ) সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে বিসিএস তথ্য সার্ভিসের সদস্য হন।
তাজুল সাহেব বললেন, ‘লিখেছ ভালোই। সমস্যাও মোটামুটি চিহ্নিত করতে পেরেছ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা যেটা বলেছ তা হলো, আজকের কিশোর গ্যাং যখন সমাজ ও রাজনীতির নেতৃত্বে উঠে আসবে, তখন কী অবস্থা হবে? কিন্তু আমরা যে এখন “অ্যাডাল্ট গ্যাংয়ের” খপ্পরে পড়ে ত্রাহি মধুসূদন অবস্থায় আছি, তা থেকে বাঁচার উপায় কী?’ বলা নিষ্প্রয়োজন, আজকের এই নিবন্ধের অনুপ্রেরণা তাজুল সাহেবের মন্তব্য থেকে উৎসারিত।
সমাজবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত বিপথগামী কিশোর-তরুণদের অভিহিত করা হয়ে থাকে কিশোর গ্যাং হিসেবে। ওরা যেসব অপরাধমূলক কাজ করে, তার চেয়েও জঘন্যতম অনেক অপরাধ করে প্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষ। কখনো বিচ্ছিন্নভাবে, কখনো জোটবদ্ধ হয়ে। অপরাধীদের এই জোটকে শুদ্ধ ভাষায় বলা হয় ‘সিন্ডিকেট’। এদের সিন্ডিকেট বলে অভিহিত করে আসল সিন্ডিকেটের অবমাননা করছি আমরা হরহামেশা। সবাই জানেন, সিন্ডিকেট এমন একটি সংগঠন, যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন ও অনুমোদিত হতে হয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নামটি এখন অপরাধীদের অঘোষিত সংগঠনের নামের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- কিশোর গ্যাং