কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ওই পাখিরা কি আবার নীড়ে ফিরবে?

যুগান্তর সাকিব আনোয়ার প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮

ষাট ও সত্তরের দশকের সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্বিনীত, অধিকার আদায়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, পরাধীনতার শিকল ভাঙার ভ্যানগার্ড ছাত্র রাজনীতি কালের পরিক্রমায় আজ ছাত্রসমাজের কাছেই ঘৃণিত, পরিত্যাজ্য। বুয়েটের চলমান আন্দোলন ছাত্র রাজনীতির এ বাস্তবতা আরেকবার আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু কেন ছাত্র রাজনীতি তার অতীতের গৌরব হারিয়ে আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজকের এ লেখা।


কিছু লিখতে গেলে সাধারণত মাথায় একটা প্লট, একটা ভাবনা কাজ করে। তারপর শব্দ সাজিয়ে সেই ভাবনা একটা লেখায় পরিণত হয়। কিন্তু আজকের এ লেখাটা নিজের কাছেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা। যেন একটা একটা শব্দ জোড়া দিতে দিতে উত্তরটা খুঁজে পাওয়া যায়।


বাহান্নের ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, এমনকি সত্তরের নির্বাচনে ছাত্ররা তথা ছাত্র রাজনীতিই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বাহান্ন থেকে সত্তর পর্যন্ত ছাত্র রাজনীতির এ সংগ্রামের যৌক্তিক পরিণতিতেই একাত্তরে জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের চালিকাশক্তিও ছিল ছাত্র রাজনীতি। এ রাজনীতি কেবল শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, পুরো জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই লড়াই করেছে।


এরশাদের পদত্যাগের পর ছাত্র রাজনীতি যে দুর্বৃত্তায়নের পথে পরিচালিত হয়েছে; তাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। এর জন্য দায়ী ক্ষমতায় থাকা দলগুলোর দখলদারত্বের মানসিকতা। বুয়েটে সাবিকুন্নাহার সনি, আরিফ রায়হান দ্বীপ, আবরার ফাহাদদের এ পথভ্রষ্ট ছাত্র রাজনীতির বলি হতে হয়েছে। এরশাদের পর যারাই যখন ক্ষমতায় এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের গত ১৫ বছরের শাসনামলে ছাত্র রাজনীতি এতটাই বীভৎসতা দেখিয়েছে যে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতিকেই গ্রহণ করতে পারছে না। ছাত্রলীগ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনভাবে দখল করেছে যে, বুয়েটসহ দেশের সব শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্র রাজনীতির অর্থই দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।


বুয়েটের আলোচনায় ফেরা যাক। ২০১৯ সালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বুয়েটের আবাসিক হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করার পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে বুয়েটে ছাত্রলীগের দখলদারত্বের অবসান ঘটে। সাড়ে চার বছর পর আবারও বুয়েটের দখল নিতে গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সভাপতি দলবল নিয়ে বুয়েটে মহড়া দেয়। এরপরের ঘটনা প্রবাহ আমরা প্রত্যেকেই জানি। স্বাভাবিকভাবেই সরকার এবং সরকারি দল ছাত্রলীগের পক্ষে অবস্থান নেয়। এমনকি সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক তো আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে অ্যাকশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর আদালতের রায়ের ভিত্তিতে অবিশ্বাস্য রকম দ্রুতগতিতে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি রিটের রায়ে ছাত্রলীগ আবারও বুয়েটে আধিপত্য বিস্তারের আইনি বৈধতা পায়। পরদিনই ছাত্রলীগ বুয়েটে কমিটি ঘোষণা করে। এতে স্পষ্ট হয়, দেশের অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বুয়েটের দখল নিতে সবকিছু পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এখনো আদালতের রায় মানেনি। তারা আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা অসহায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখে নিজেদের দাবি জানিয়েছে। যারা এ চিঠি লিখেছে তারাও কি বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী এসব ঘটনা প্রবাহ জানেন না কিংবা তার অনুমোদন ছাড়াই ছাত্রলীগ, সরকার, সরকারি দল বুয়েটের দখল নিতে মরিয়া হয়েছে? এর উত্তর আমরা সবাই জানি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও