পণ্যের মূল্য কমলেও এখনো বাড়তি
বাজারে রমজাননির্ভর ছয় পণ্য-ছোলা, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলছে। তবে যে হারে দাম বেড়েছিল ঠিক সে হারে কমেনি। আবার নামমাত্র দাম কমলেও রোজা শুরুর ৩ মাস আগই এসব পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ানো হয়েছে। ফলে ধাপে ধাপে ভোক্তার পকেট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে হাজার কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন আর অসাধু ব্যবসায়ীরা রোজায় পণ্যের দাম বাড়ায় না। রমজান শুরুর ২ থেকে ৩ মাস আগেই পণ্যমূল্য বাড়িয়েছে অসাধুরা। যাতে কেউ বলতে না পারে রোজায় দাম বেড়েছে। আবার ১০ থেকে ১৫ রোজায় দাম কমাতে থাকে। এই দাম কমার পুরো ক্রেডিট নেয় বাজার তদারকি সংস্থা। তবে এই ফাঁকে অসাধুরা অতি মুনাফা লুটে নেয়। আর এমন পরিস্থিতি গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে চলছে। এদিকে খুচরা বাজারের পণ্যমূল্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নভেম্বরে প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ টাকা বিক্রি হলেও ডিসেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা। আর প্রথম রোজায় বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকায়। তবে ১৭ রোজা বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি ভালোমানের মসুর ডাল নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা। ডিসেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকা, আর প্রথম রমজানে বিক্রি হয় ১৪০ টাকা। যা ১৭ রমজান পর্যন্ত একই দামে ক্রেতার কিনতে হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোলা নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা। ডিসেম্বরে দাম বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকা। প্রথম রোজায় বিক্রি হয় ১১০-১১৫ টাকা। তবে বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে এই পণ্য ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।