কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংবিধানে ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল সংশোধনে আর কত অপেক্ষা?

ঢাকা পোষ্ট সালেক খোকন প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:২২

৭ মার্চ ১৯৭১। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন ঢাকায়, রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। যা কোনো লিখিত ভাষণ ছিল না। প্রায় দশ লক্ষাধিক মানুষের উত্তাল সমুদ্রের মধ্যে দেওয়া ভাষণের বক্তব্যের প্রেক্ষাপট আকস্মিক কোনো ঘটনাও ছিল না। বরং দুই যুগের বেশি সময় ধরে জাতির জনকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং নিপীড়িত গণমানুষের মুক্তির স্পন্দনের বহিঃপ্রকাশ ছিল এই ভাষণ।


বঙ্গবন্ধুকে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ছাত্রনেতারা। কিন্তু তিনি তা করেননি। কেননা তা করলে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লাখো নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করতো।


এমন পরিস্থিতিতে খুবই বিচক্ষণ ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। উত্তাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন তিনি। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা যেন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামকে বানচাল করতে না পারে, তার জন্য তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন না। কিন্তু ভিন্নভাবে বলে দিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির কথা। পাকিস্তানিদের প্রতি ছুড়ে দিলেন ৪টি শর্ত আর দেশবাসীর জন্য জারি করলেন ১০টি নির্দেশনা।


খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করার ঘোষণা ও পাকিস্তানে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণের মাধ্যমে পাকিস্তানকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবেই তুলে ধরলেন জনমানুষের সামনে। অফিস-আদালত-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে বাংলাদেশের সর্বময় অধিকারী তিনি এবং বাঙালিরা স্বাধীনভাবে চলতে শুরু করেছে।


সারাদেশে সংগ্রাম কমিটি গঠন ও ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মূলত জনগণকেই সম্ভাব্য গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। সাত মার্চের ভাষণ রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত হয়ে যারা শুনেছেন তারা কী দেখেছেন, কতটা প্রভাবিত করেছিল ওইদিনের ভাষণ? তা নিয়ে কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে।


এই ভাষণই স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ঘোষণা বলে মনে করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আহম্মদ বাবু। তারা বাসা ছিল ঢাকার গ্রিন রোডে। ওইদিনের স্মৃতিচারণ করলেন এভাবে—“সত্তরের ইলেকশনে জিতে গেল আওয়ামী লীগ। বাঙালিরা লিড দেবে—এটা পাকিস্তানিরা মেনে নিতে পারেনি। ফলে ওরা পাওয়ার (ক্ষমতা) দিচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আন্দোলনে নামে। পুলিশও রোজ গুলি করে মানুষ মারে। দেশ তখন উত্তাল। খেয়াল করবেন বঙ্গবন্ধু ভাষণে বলেছিলেন—‘আর যদি একটা গুলি চলে।’ এর মানে কী? গুলি চলছিল। তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল। কী অনুরোধ? সেই কথাও তিনি বলেছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও