মানুষের মুক্তিকামী সংগ্রামের উজ্জ্বল মেনিফেস্টো

দেশ রূপান্তর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:২০

মার্কিন লেখক রালফ ওয়াল্ডো এমারসনের একটা কথা আছে স্পিচ ইজ পাওয়ার। আবার ফ্রান্সিস বেকনের একটি কথা আছে নলেজ ইজ পাওয়ার। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মূল্যায়ন করতে গেলে সংক্ষেপে এই দুটি কথা আমার স্মরণে আসে। বক্তৃতা বা ভাষণের ক্ষমতা যে কতদূর যেতে পারে, ভাষণটি তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, যে শব্দ প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, যেসব তথ্য দিয়েছেন, তার প্রতিটি জায়গায় আজ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার সুযোগ রয়েছে। একটি ভাষণ বা বক্তৃতার ধ্রুপদি বা ক্ল্যাসিকাল যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তার সবকিছু ভাষণটিতে রয়েছে।


জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনেস্কো ৩০ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য-স্মারক তালিকায় (Memory of the World International Register) সংযোজিত করেছে। এর কারণ কী? কারণ, ভাষণটি কেবল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও এ দেশের মানুষের মুক্তির অনুপ্রেরণা হিসেবে নয়, তারা দেখেছে এই ভাষণটি সারা বিশ্বের নিপীড়িত ও মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মেনিফেস্টো। বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকীতে ইউনেস্কো মহাপরিচালক অদ্রে আজুলে যে বাণী দিয়েছেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন সর্বদাই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তার ভাষায়, ‘It is certain that Bangabandhu’s legacy will continue to be a great source of inspiration for generations to come and for those working to reinvent the world.’


আন্তর্জাতিক সাময়িকী নিউজ উইক কর্তৃক ‘রাজনীতির কবি’ বলে অভিহিত বঙ্গবন্ধু। আর তার ৭ মার্চের ভাষণ ছিল প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির মহাকাব্য। ইতিহাসবিদ ও লেখক জ্যাকব এফ ফিল্ড সম্পাদিত ‘We Shall Fight On The Beaches’ গ্রন্থে পুরো পৃথিবীকে আন্দোলিত করেছে এমন ৪১টি ভাষণের মাঝে স্থান করে নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। খ্রিস্টপূর্ব ৪৩১ থেকে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই সুদীর্ঘ সময়কালের ইতিহাসে যে ভাষণগুলো মানবসভ্যতায় স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে, কালজয়ী অনুপ্রেরণাদায়ী সে ভাষণগুলোই এ গ্রন্থের আধেয়।


অধুনালুপ্ত ‘দৈনিক পাকিস্তান’ ‘লক্ষ কণ্ঠের বজ্রশপথ’ শিরোনামে পরদিনের (৮ মার্চ, ১৯৭১) পত্রিকায় বর্ণনা করে, ‘লক্ষ হস্তে শপথের বজ্রমুষ্টি মুহুর্মুহু উত্থিত হচ্ছে আকাশে। জাগ্রত বীর বাঙালির সার্বিক সংগ্রামের প্রত্যয়ের প্রতীক, সাত কোটি মানুষের সংগ্রামী হাতিয়ারের প্রতীক বাঁশের লাঠি মুহুর্মুহু স্লোগানের সাথে সাথে উত্থিত হচ্ছে আকাশের দিকে। এই ছিল রবিবারের (৭ মার্চ, ১৯৭১) রমনার রেসকোর্স মায়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সভার দৃশ্য।’ ‘জয় জনতার জয়’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাক পরদিন অর্থাৎ ৮ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে রিপোর্ট করে যে, গভীর রাত্রিতে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, ‘সামরিক কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত ঢাকা বেতার হইতে শেখ মুজিবুর রহমানের রমনা রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ভাষণের পূর্ণ বিবরণ প্রচারের অনুমতি দিতে স্বীকৃত হইয়াছেন। সোমবার (৮ মার্চ, ১৯৭১) সকাল সাড়ে ৮ ঘটিকায়, ঢাকা বেতার কেন্দ্র হইতে শেখ মুজিবুর রহমানের রমনা রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ভাষণ প্রচার করা হইবে। বাংলার অন্যান্য বেতারকেন্দ্র হইতেও ইহা রিলে করা হইবে।’ ভাষণটি বাঙালি জাতির মুক্তি প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সেই মুহূর্ত থেকেই বিশ্বব্যাপী পরিগণিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও