কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব

www.ajkerpatrika.com ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১৭

পৃথিবীর ইতিহাসে যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ আছে, এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ। ৭ মার্চের বক্তব্যের আবেদন অপরিসীম। একটি ভাষণেই পাল্টে দিল বাঙালির ইতিহাস। বাঙালি হয়ে উঠল স্বাধীনতাকামী। রাজনৈতিক বা স্বাধীনতার ঘোষণার ইঙ্গিতবাহী ভাষণ হলেও সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও এটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭ মার্চের বক্তব্যের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়, অনুরণিত করে। এই বক্তব্য বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতা অনুরাগী মানুষেরও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে যুগ যুগ টিকে থাকবে।


১৯৭১ সালের ৭ মার্চের এই ঐতিহাসিক মহাকাব্যিক ভাষণে যেমন স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়ার কথা বলা আছে, তেমনি বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও বলা হয়েছে। তত্ত্বগত ধারণার দিক থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি না থাকলে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অর্থহীন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সেটা খুব ভালোভাবে জানতেন। এ কারণেই তিনি একদিকে যেমন স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন, অন্যদিকে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন। ভাবলে খুব অবাক হতে হয় বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দিকটিতে জোর দিয়েছিলেন। কারণ অর্থনৈতিক মুক্তি পেতে গেলে সমাজের পরিবর্তন প্রয়োজন হয়। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে সেই অর্থনৈতিক মুক্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরতে গিয়ে বললেন, ‘আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।’


১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলা যে স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, সেটা দেখা যায়নি। সেখানে গণতন্ত্র যেমন প্রতিষ্ঠা হতে পারেনি, ঠিক তেমনি সুখী ও সুন্দর সমাজও প্রতিষ্ঠা হতে পারেনি। পরিবর্তে এ দেশের মানুষ পেয়েছিল লুটেরা ধনিক গোষ্ঠীকে। যেখানে সামরিকতন্ত্র এবং পুঁজিবাদ চেপে বসেছিল বছরের পর বছর। এ জন্যই আমরা দেখি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ছয় দফা ঘোষণা করলেন। এরপর থেকেই পূর্ব বাংলার জনগণ এক নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। বাঙালির প্রাণের দাবি ছয় দফাকে আওয়ামী লীগ সত্তরের নির্বাচনে নির্বাচনী মেনিফেস্টো হিসেবে ঘোষণা করলে বাঙালি জনসাধারণ সেটাকে প্রাণের দাবি হিসেবে মেনে নেয়। কিন্তু ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ফল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে বিপুল বিজয় এনে দিলেও ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা এমনকি গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান নিয়ে বাঙালিদের হতাশায় ফেলে দেয়।


এমনি পটভূমিতে ১৯৭১ সালের মার্চ ছিল উত্তাল। রাজনৈতিক আন্দোলন পরিণতির দিকে যায় স্বাধীনতার আন্দোলনে। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো শুরু হয়। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার অলিগলিসহ সমগ্র দেশের রাজপথ। স্লোগানে স্লোগানে প্রতিধ্বনিত হয় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কর্মসূচির ঘোষণার দাবি জানাতে থাকে ছাত্রসহ বীর জনতা। ১৯৭১ সালের মার্চের এই পটভূমিতেই বঙ্গবন্ধু ২ ও ৩ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানে সর্বাত্মক হরতালের ডাক এবং ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভার ঘোষণা দেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সেই ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও