কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংস্কার ছাড়া স্বাস্থ্যখাত ঠিক হবে না

যুগান্তর ড. মো. রফিকুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১

একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর মধ্যে একটি হলো স্বাস্থ্য খাত। আর এ খাতের উত্তরোত্তর উন্নয়ন করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। অর্থাৎ রাষ্ট্রের জনগণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করাই মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ লক্ষ্যে সরকার সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি টেকসই অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের জন্য সর্বদা বদ্ধপরিকর। বিশেষত স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির অর্থই হলো দেশের অর্থনৈতিক ও চিকিৎসাসেবার মানের উন্নতি হয়েছে।


বিশেষ করে ক্ষমতাসীন সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক পরিবর্তন আনা। যা প্রত্যেক মানুষের জন্য একটি অনন্য স্বাস্থ্য আইডি ও হাসপাতালে অটোমেশন ব্যবস্থা চালুকরণসহ সব নাগরিককে একই রকম স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ নানা ভুলনীতির কারণে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান আজ তলানিতে। এর উত্তরণ বর্তমান সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষত সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু এর একটি বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এখনই লাগাম টেনে ধরতে না পারলে অচিরেই চিকিৎসাসেবা আরও অনিরাপদ হয়ে যাবে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি শুধু চাটার দল।’ অর্থাৎ এ চাটার দল গত ৫২ বছরে আরও নতুন করে জেগে উঠেছে। সবখানে যেন তাদের দৌরাত্ম্য। এ চাটার দলের কারণে দেশে সরকারি কেনাকাটা মানেই হচ্ছে দুর্নীতির মহোৎসব। তবে সরকার স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিক্ষা, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা, শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, পরিবার পরিকল্পনাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পরিচালনা করলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটছে না। এর প্রধান কারণ স্বাস্থ্য খাতে বিরাজমান দুর্নীতি। এক্ষেত্রে কেবল একজন মহাপরিচালক পদত্যাগ করলেই স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে তেমনটা নয়। এ খাতে দুর্নীতি তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়েছে। যার পেছনে রয়েছে বড় বড় রাঘলবোয়াল। আর এ রাঘলবোয়ালদের ধরতে না পারলে স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা কোনোদিনও দূর হবে না।


যদ্দূর জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৭ হাজার ৩১২। এর মধ্যে সরকারি ২ হাজার ২৫৮টি। যার মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকও রয়েছে। আর পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল ২৫৪টি। তবে বাংলাদেশে ১ হাজার ৫৮১ জন রোগীর বিপরীতে একজন নিবন্ধিত চিকিৎসক রয়েছেন। বিশেষত একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকতে হয়। সে অনুপাতে হাসপাতালে নার্স নেই। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও নার্সের স্বল্পতা রয়েছে ঠিকই। এ কারণে প্রতিবছরে বিসিএস-এর মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয় আর নার্সও পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদিকে গ্রামের রোগীরা উপজেলা পর্যায়ে ভালো চিকিৎসকের অভাবে জেলা পর্যায়ে ও বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসছে। এ বিপুলসংখ্যক রোগীর ভিড়ের কারণে জেলা পর্যায়ে ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ ইউনিয়ন ও কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসার মান উন্নত করা যায়, সেক্ষেত্রে হয়তো ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগী চিকিৎসার জন্য জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ছুটে আসত না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চিকিৎসাব্যবস্থা তেমন উন্নত নয় বিধায় উন্নত চিকিৎসার জন্য লাখ লাখ লোক ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। এর মূল কারণ চিকিৎসকের নৈতিকতার বড় অভাব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও