শিক্ষার্থীদের ঘাড়েই করের বোঝা!

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৪

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উদ্বৃত্ত অংশের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে বলে সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, যা নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলরের কাছেও যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিরা বলছেন, কয়েকটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্যরা ভালো অবস্থানে নেই। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অব্যাহত চাপে অনেকেই এক প্রকার যুদ্ধের মাঠে রয়েছে। এ অবস্থায় যদি উদ্বৃত্ত আয়ের ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়, তাহলে তা শিক্ষার্থীদের ঘাড়েই পড়বে। অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবেই টিউশন ফি বাড়ানো ছাড়া বিকল্প উপায় থাকবে না। নয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ থমকে যাবে।


জানা যায়, দেশে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫টি। জাতীয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ লাখ। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নামমাত্র খরচে পড়ার সুযোগ পায়। খরচের প্রায় পুরোটাই সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হয়। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার এক টাকাও দেয় না। পুরো শিক্ষাব্যয়ই মেটাতে হয় অভিভাবকদের। আর এতে পড়ালেখা করা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কর আরোপের বিষয়টি পুরনো। এতদিন তা হাইকোর্টের রায়ে আটকে ছিল। এখন সর্বোচ্চ আদালত তা নিষ্পত্তি করে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন। এখন আদালতের আদেশ আমাদের মানতে হবে। তবে আমরা এ ব্যাপারে রিভিউ করব। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করব। আমরা রাষ্ট্রপতি তথা চ্যান্সেলরের কাছেও আবেদন করব। কারণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটা ট্রাস্টের অধীনে চলে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ ও ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী উদ্বৃত্ত আয়ের ওপর কর ধার্য হওয়ার কথা নয়।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও