কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শশী থারুরের বক্তব্য এবং ভাষা আন্দোলন

www.ajkerpatrika.com মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

সম্প্রতি ভারতের বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবী শশী থারুর ইংল্যান্ডে দেওয়া একটি পুরোনো বক্তব্য ডিজিটাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে কিছু চমকপ্রদ তথ্য তিনি প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশরা আমাদের একটি শব্দকে তাদের করে নিয়েছে। শব্দটি হচ্ছে—‘লুট’। ‘লুট’ একটি উর্দু শব্দ। উৎস ফারসি কি না, তা আমার জানা নেই। এখন ‘লুট’ একটি ইংরেজি শব্দও, আছে আমাদের বাংলা অভিধানেও।


যা-ই হোক, ক্লাইভ থেকে শুরু করে মাউন্টব্যাটেন পর্যন্ত ভারতবর্ষ থেকে যে পরিমাণ সম্পদ লুট করে নিয়েছেন, তার একটা হিসাবও শশী থারুর দিয়েছেন। ইংরেজরা আমাদের মসলিন শুধু নয়, যেভাবে কাপড়ের শিল্পকে ধ্বংস করেছে, তা-ও বলেছেন। এখান থেকে কাঁচামাল লুট করে কীভাবে তাদের কারখানায় নিয়ে কাপড় বানিয়ে আবার ভারতে এনে উচ্চ শুল্ক নিয়ে বিক্রি করেছে, তার ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। ভারতবর্ষে তারা কতগুলো দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা-ও সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন শশী। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের যাবতীয় খরচ ভারতবর্ষই দিয়েছে এই শুল্কের মাধ্যমে।


পরিশেষে শশী দাবি করেছেন ‘রেপারেশন’। ইংরেজি ‘রেপারেশন’-এর অর্থ ক্ষতিপূরণ। ব্রিটিশ কলোনি ভারতবর্ষে এসে যে পরিমাণ ক্ষতি এই অঞ্চলের করেছে, এর জন্য তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও শুধু অর্থের মাধ্যমে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। তবু বছরে এক পাউন্ড করে দিলেও তো কয়েক শ বছর লেগে যাবে এই ক্ষতি পূরণ করতে। তবু শুরু হোক।


ব্রিটিশ শাসনামলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা; বিশেষ করে পূর্ব বাংলা। এই বাংলা সুজলা, সুফলা এবং বস্ত্রশিল্পে পৃথিবীতে অগ্রণী। মসলিন শিল্প ও উন্নতমানের বস্ত্রশিল্পের জন্যই ছিল এই অঞ্চলের খ্যাতি। সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁর মৃত্যুর আগপর্যন্ত এই বাংলা থেকে এক কোটি টাকা রাজস্ব পেতেন। শোনা যায়, এই টাকা দিয়েই তিনি ভ্রাতাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজের শাসন সুসংহত করেন। মোগলরা এ দেশের সম্পদ লুট না করে এখানেই কাজে লাগাতেন। যদিও যুদ্ধ কোনো সম্পদ রক্ষার কাজ নয়। তবে রাস্তাঘাট নির্মাণে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য তাদের উদ্বেগেরও অভাব ছিল না। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করার জন্য ব্রিটিশদের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতি আবার নানাভাবে কাজ করেছে। এর জন্য তারা আগে এক ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গার সূচনা করে, এরপর ভারতবর্ষকে দুই ভাগে বিভক্ত করে। আর এর মধ্যে নির্বিঘ্নে নিজের পুঁজি গুছিয়ে নিয়ে সম্মানজনক এক প্রশংসা নিশ্চিত করে চম্পট দেয়। সেই সঙ্গে দুই দেশে এক তথাকথিত ‘গণতন্ত্র’ দিয়ে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও