শুধু বিএনপিই কি পথের সন্ধানে

www.ajkerpatrika.com অরুণ কর্মকার প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২১

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিএনপি নাকি এখন নতুন করে আন্দোলনের পথ খুঁজছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের কৌশল, কর্মসূচি, গতি-প্রকৃতি কী হবে; কী হতে পারে—এসব বিষয় নিয়ে নাকি এখন ভাবতে শুরু করেছে। অবশ্য নির্বাচনের আগে, বিএনপি এবং তার মিত্র দলগুলো যখন ধারাবাহিক আন্দোলন করে যাচ্ছিল, তখন বলা হয়েছিল যে নির্বাচনের পরও একই ধারায় আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।


তবে নির্বাচন এবং সরকারের ক্ষমতায় আরোহণ প্রায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ায় নিশ্চয়ই দেশে নতুন এক বাস্তবতার সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যেমন অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ঘোষণা করেছিল, এবার তেমন কিছু করেনি, যাতে ধরে নেওয়া যায় যে কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।


অবশ্য এই বাস্তবতায় নতুন পথের সন্ধান এবং সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে ভাবনা-চিন্তার অবকাশ আছে বৈকি। সর্বোপরি সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ-মহাসমাবেশ, অবরোধ-হরতালসহ নির্বাচনের পূর্ববর্তী আন্দোলনের ব্যর্থতা নিয়েও পর্যালোচনা এবং মূল্যায়নের দরকার আছে, যাতে ভবিষ্যৎ আন্দোলনের একই পরিণতি না হয়।


কিন্তু ভাবনা কি শুধু বিএনপির একার মাথায়? সরকারের কি কোনো ভাবনা নেই? অবশ্যই আছে। সেই ভাবনা আরও বড় এবং অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। অন্তত সে রকমই হওয়ার কথা। কারণ সরকারের যেমন রাজনীতি নিয়ে ভাবনা আছে, তেমনি গভীরতর ভাবনা ভাবার আছে অর্থনীতি, কূটনীতি এবং আরও অনেক অনেক বিষয় নিয়ে। তবে রাজনীতির পাশাপাশি সরকারের জন্য বড় ভাবনা হলো, দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার, গতিশীল করা এবং কূটনীতির দিকে নজর দেওয়া জরুরি।


কোভিডের পর গত দুই বছরে যুদ্ধ-বিগ্রহসহ বৈশ্বিক বিশৃঙ্খলা এবং সরকারের কিছু ভুল নীতি অনুসরণের ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। অনেক দিন ধরেই দেশে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগামী চলমান রয়েছে। এখন তা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের জীবনধারণের অনুকূলে নয়। এই পরিস্থিতিকে প্রায়ই অসহনীয় করে তোলে কোনো কোনো পণ্যের হঠাৎ আকাশচুম্বী দাম। এরই মধ্যে ঘনিয়ে আসছে পবিত্র রমজান মাস। এসব বিবেচনায় অবিলম্বে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকারের বড় ভাবনার একটি বিষয়। অবশ্য সরকার ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আগ্রাধিকারের কথা ঘোষণা করেছে।


অর্থনীতির জন্য আরও কতিপয় অশনিসংকেত হলো রাজস্ব আয়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এবং রিজার্ভ কমে যাওয়া। ফলে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে অনেক দিন ধরে। বিনিয়োগ কম হওয়ায়, বিদ্যুৎ-জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং জ্বালানির অপ্রতুল সরবরাহের কারণে রপ্তানি বাণিজ্যেও সুখবর নেই। প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অঞ্চলে এর রপ্তানি কমছে। এর অন্যতম কারণ অবশ্য ইউরোপের অর্থনৈতিক টানাপোড়েনও বটে। রেমিট্যান্স আসা দিন দিন কমে যাচ্ছে। নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী কীভাবে অর্থনীতির এই বহুমুখী সমস্যা মোকাবিলা করবেন, সেটাই এখন দেশবাসীর দেখার বিষয়। আর সরকারের সবচেয়ে বড় ভাবনার বিষয়ও সেটাই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও