কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমরা জনগণেরা অল্পই চাই

www.ajkerpatrika.com ড. জেবউননেছা প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৯

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকালটা শীতের হলেও আকাশটা ছিল পরিষ্কার। সকালে ঘরের জানালার পর্দা সরাতেই আকাশটাকে যখন পরিষ্কার দেখেছিলাম, তখনই মনে পড়ে গিয়েছিল বিখ্যাত সেই উক্তি ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। বাসার কাছেই ভোটকেন্দ্র।


রাজধানীর রাজপথের সঙ্গে বাসা। রাস্তায় বের হতেই থমকে গেলাম, লোকজন কম। ধীরে ধীরে ভোটকেন্দ্রের দিকে যতই এগিয়ে যাই, ততই চোখে পড়ছিল মানুষের ভিড়। ভোটকেন্দ্রের সামনে দেখি অসংখ্য মানুষ। আমি কেন্দ্রের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থেকে বিভিন্ন দলীয় কর্মীদের কার্যকলাপ লক্ষ করছিলাম।


সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একই জায়গায় একইভাবে দাঁড়িয়ে থেকে মাঝে মাঝেই চোখে পড়েছে ছেলের কোলে বৃদ্ধ মায়ের ভোটকেন্দ্রে আসার দৃশ্য, হুইলচেয়ারে ভোট দিতে আসা ভোটারদের। ভোট শেষে বাসায় ফিরে গণমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করি, কোথাও কোনো বড় ধরনের ঝামেলা নেই তথ্য পাই। বোঝা যাচ্ছিল একটি সুন্দর দিনের সমাপনীর দিকে যাচ্ছে ৭ জানুয়ারির দিনটি।


সোমবার সকালে বাসার কাছে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কয়েকজন বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করি, ‘গতকাল ভোট দিয়েছেন?’ সবার একই উত্তর, ‘হ্যাঁ।’ কেউ কি কোনো চাপ প্রয়োগ করেছেন? সবার উত্তর, ‘না।’ মাংসের দোকানের দুজন মাংস বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললাম, তাঁরা উর্দুভাষী। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে। জানতে চাইলাম, ভোট দিয়েছেন? তাঁদের উত্তর, ‘আমরা ভোট দিয়েছি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে।


আমাদের ভালো লেগেছে এ জন্য যে আমাদের কেউ চাপ দেয়নি; বরং এটা বলেছে, যাকে ভালো লাগবে, তাকেই ভোট দেবেন। আপা, আমরা দেখব দেশের উন্নয়ন। যে উন্নয়ন করবে আমরা তাকেই ভোট দেব।’ বাড়ি ফিরে ফোনে কয়েকজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে জানতে চাই,  কাল কেমন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা। তাঁরা বলেছেন, ‘এর আগেও আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এবারের মতো এত সুন্দর ভোটের আয়োজন নজিরবিহীন।’


পত্রিকার পাতা ওল্টাই। কোনো কোনো সংবাদ পড়ে হতাশ হই। কোনো কোনো সংবাদ মনে আশা জাগায়। মনে প্রশ্ন জাগে, যাঁদের নির্বাচিত করা হলো, তাঁরা তাঁদের অঙ্গীকার অনুযায়ী জনগণের জন্য নিবেদিত থাকবেন তো? যাঁরা প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হলেন, তাঁরা নিজের উন্নয়নের চেয়ে জনগণের উন্নয়নের দিকে ঝুঁকবেন তো?


ফোন করি একজন শহীদ বৃদ্ধিজীবীর সন্তানকে। জানতে চাই গতকাল নির্বাচনে কেমন উপভোগ করলেন? তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু ভোটার কেন্দ্রে গেছে, সেটাই বা কম কিসে? কিন্তু আমার দুশ্চিন্তা অন্যদিকে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, যেই যুদ্ধে আমার বাবা শহীদ হয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সেই অঙ্গীকারে কি আমরা আছি? নাকি অনেকখানি সরে গেছি? সমাজের বৃহৎ ইতিবাচক পরিবর্তনের উদ্দেশ্য নিয়ে মানুষের কল্যাণ কামনা করেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা এখন কতটা জনগণের সেবার কথা ভাবেন? নিজের আখের গোছানোর দিকেই থাকে অনেকের দৃষ্টি। দলীয় শৃঙ্খলারও বড় প্রয়োজন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও