কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মোটামুটি সফল হয়েছে নির্বাচন কমিশন

যুগান্তর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৭

৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল। এর একটা বড় কারণ হলো, গত দুই নির্বাচনে বড় ধরনের দুটি সমালোচনা হয়েছিল। এবং ওই দুই সমালোচনা থাকার কারণে গ্রহণযোগ্যতার একটা প্রশ্ন চলে এসেছিল। ওই দুটি নির্বাচনের একটিতে ভোটের আগের দিন বা রাতে ‘ব্যালট স্টাফিং’ হয়েছিল বলে একটা বড় সমালোচনা ছিল। আরেকটি সমালোচনা ছিল যে, অনেকেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেন যে তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। এ দুটি সমালোচনা থাকার কারণে এবার নির্বাচন কমিশন, সরকার অর্থাৎ যারা এ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা এই দুটি চ্যালেঞ্জকে মুখ্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধরে নিয়েছিলেন। এখানে অনেকেই হয়তো বলবেন, নির্বাচনে বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপির না আসাটাও একটি চ্যালেঞ্জ ছিল কিনা। কিন্তু আমি মনে করি না সেটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ একটা দল যদি না আসে, সেটা ওই দলের রাজনীতির ব্যাপার। যেটা নিয়ে হয়তো আলোচনা করা যেতে পারে যে, কেন তারা এই নির্বাচনে এলেন না। অনেকে ভোটার টার্নআউটের কথাও বলছেন, যে এটাও চ্যালেঞ্জ ছিল কিনা। তো আমি মনে করি না যে সেটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ অনেক গণতান্ত্রিক দেশেই দেখা গেছে, ভোটার টার্নআউট খুবই কম থাকে। এমনও হয়েছে যে, আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ৫০ শতাংশের নিচে তো বটেই, কোনো কোনো প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে আরও কম শতাংশ ভোট পড়েছিল। কাজেই ভোটার টার্নআউট ততটা বড় চ্যালেঞ্জ নয়, যতটা না প্রথম দুটি চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ নির্বাচনের প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কিনা।


আমি মনে করি, প্রথম দুটি চ্যালেঞ্জের বিষয়টি মোটামুটি সমাধান করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। কিংবা বলা যায়, তারা সেই চেষ্টাটা করেছে। যেমন প্রথম যে চ্যালেঞ্জ অর্থাৎ ব্যালট স্টাফিং, সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন অধিকাংশ কেন্দ্রেই বা ৯৩ শতাংশ কেন্দ্রে ভোটের দিন ব্যালট বাক্স পাঠিয়েছে। দু-একটি বাদ দিলে সবকটিতেই নির্বাচন কমিশন ব্যালট বাক্স পাঠিয়েছে। আর প্রত্যন্ত এলাকায় দূরত্বের কারণে স্বাভাবিকভাবেই আগে পাঠাতে হয়েছে। কাজেই যে সমালোচনাটা ছিল যে, ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে, এবার কিন্তু তা হতে পারেনি।


আর দ্বিতীয় যেটা, নির্বাচনের দিনে কোনো ভোটার নিজের ভোটটা দিতে পেরেছে কিনা। এবার সেই সমালোচনাটা আসেনি। সমালোচনা কিছু হয়তো হয়েছে। যেমন আমি শুনেছি, কেউ কেউ বলছেন, দুপুর ৩টায় ভোটার টার্নআউট ২৯ শতাংশ ছিল, তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যে কেন ৪০ শতাংশ হয়ে গেল? এক্ষেত্রে মনে হয় তারা বিষয়টা ঠিকমতো বোঝেননি। কারণ ৩টার সময়ে যে ২৯ শতাংশের কথা বলা হয়েছে, তার মানে কিন্তু সেটা ৩টার সময়েই হয়নি। সেই পরিসংখ্যান নিতে হলে গণনার ব্যাপার আছে। সেটা করতে গেলে ঘণ্টাখানেক তো মিনিমাম সময় লাগেই, তার চেয়ে বেশিও লাগে। তার মানে আমি ধরে নিচ্ছি, দুপুর ১টা-২টার দিকে যে ভোটগুলো হয়েছে, সেটার ২৯ শতাংশ। এ বিষয়টা অনেকেই খেয়াল করছেন না। তারা ভাবছে, এক ঘণ্টার মধ্যে কীভাবে এ সংখ্যা বেড়ে গেল। আসলে এক ঘণ্টার মধ্যে বাড়েনি, কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যেহেতু পোলিং বুথ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, সেহেতু সেসব জায়গা থেকে সব হিসাব একসঙ্গেই আসেনি। কাজেই ৩টার সময় যে শতাংশের কথা বলা হয়েছে, তখন সেটা কমপ্লিট হয়ে গেছে। আমি যেহেতু সার্ভে নিয়ে কাজ করি, তাই আমার ভালো করেই জানা আছে, এসব বিষয়ে যথেষ্ট সময় লাগে। অনেক হয়তো ফিগার এসেছে, যেটা ১২-সাড়ে ১২টার ফিগার। সেটা দিয়েই হয়তো ঘোষণা করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও