
মন্দ-ভালোয় দুই দশক পার
শশীকে প্রায়ই শুনতে হয়, ‘আপনি কি বিদেশ থাকেন? কাজ ছেড়ে দিয়েছেন কেন’ এমন প্রশ্নের। তখন শান্ত স্বরে জানান, কাজ খুব কম করেন। চরিত্র পছন্দ না হলে কাজ করতে চান না। এ জন্যই পর্দায় তাঁর উপস্থিতি কম। এই বাছবিচার বহুদিনের। যে কারণে মনে হয় নীরব শশী। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত কাজ করি, কিন্তু সংখ্যায় কম। যখন একের পর এক চিত্রনাট্য পেয়েছি তখনো কম করতাম, এখনো তা–ই করি। সত্যি বলতে, কাজ ছাড়া কারও সঙ্গে বাড়তি কথা হয় না। আমার গণসংযোগ একটু দুর্বল। এর মধ্যে “কুসুমকথা” ধারাবাহিকের কাজ করেছি। নাম ভূমিকায় অভিনয় করছি, যে শূন্য থেকে একসময় উদ্যোক্তা হয়।’
বাড়তি আড্ডা দরকার
এই যুগে নিয়মিত কাজ না করলে অনেকেই ভুলে যান, এটা স্বাভাবিক। সবার মনে থাকার জন্য কিছুটা হলেও সহকর্মীদের সঙ্গে হাই, হ্যালো থাকা দরকার উল্লেখ করে শশী বলেন, ‘এখন আগের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভালো কাজ হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন আড়াল হলেই কেউ কাউকে মনে রাখছে না। আমি মনে করি, আগে আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা দরকার। তবে এমন না আমি আড্ডা পছন্দ করি না। আমার সার্কেলে তুমুল আড্ডা হয়। প্রায়ই মনে হয় বাড়তি আড্ডার দরকার।’