জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আসছে নীতিমালা
নীতিমালার আওতায় আসছে উন্নয়ন প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। ৮টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো এ নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। ফলে অভ্যন্তরীণ ও বহিঃসম্পদের সুষ্ঠু বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে অন্য উচ্চতায় উন্নীত এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৮ ডিসেম্বর ‘জাতীয় প্রকল্প ও কর্মসুচি মূল্যায়ন নীতিমালা-২০২৩’ এর খসড়া প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এটির ওপর মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নেওয়ার কাজ চলছে। ৮ জানুয়ারির মধ্যে মতামত দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বুধবার যুগান্তরকে বলেন, এতদিন এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা ছিল না। কিন্তু এখন মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে কার্যকর ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য এ নীতিমালাটি একটি নির্দেশিকা হিসাবে কাজ করবে। পাশাপাশি সমন্বিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য নীতিমালাটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। এ নীতিমালায় উল্লিখিত মূল্যায়ন পদ্ধতি, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও প্রয়োগ কৌশল জনসাধারণের সম্পদের ন্যয়সঙ্গত ব্যবহার ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে শক্তিশালী করবে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে এবং সরকার তার লক্ষ্যগুলো কতটা সফলভাবে অর্জন করবে ও সম্পদের কোনো ঘাটতি আছে কিনা সে সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে।
খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা আট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- উন্নয়ন কার্যক্রমে দক্ষতা ও বৃদ্ধিতে প্রকল্পের অর্জন, পরিবর্তনের তত্ত্ব, প্রকল্পের ফলাফল কাঠামো এবং মূল্যায়ন পরিকল্পনার বিকাশকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। এছাড়া আছে-উন্নয়ন কার্যে জনস্বার্থ সমুন্নত করা এবং দেশের মূল্যায়ন কার্যক্রমকে পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও মানসম্মত করা। দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃসম্পদের ন্যয়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা। পদ্ধতিগত উপায়ে, সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সরকারি ব্যয়ের মান উন্নয়ন সরকারি তহবিলের অপচয় কমানো। সরকারি খাতে প্রকল্প ও কর্মসূচির ফলাফল অর্জনের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে সহায়তা করা। প্রকল্প কর্মসূচির অগ্রগতি পরিমাপের জন্য বেজলাইন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের মূল্যায়ন কাযক্রমকে সুশৃঙ্খল এবং মানসম্মত করা।