মধ্যস্বত্বভোগীর পেটে যাচ্ছে হাজার কোটি টাকা
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার নারায়ণগঞ্জে সিমেন্টের এক টন কাঁচামাল নিতে ২ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি বড় লাইটার জাহাজের সব মিলিয়ে টনপ্রতি খরচ হয় সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা। অথচ এ রুটে পণ্য নিতে ব্যবসায়ীদের এখন টনপ্রতি প্রায় ৪১৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। অর্থাৎ, প্রতি টনে বাড়তি ১৬৫ টাকা যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীর পেটে। চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ টন পণ্য যায় সারাদেশে। সেই হিসাবে লাইটার জাহাজ পরিচালনা করেই মধ্যস্বত্বভোগীরা পকেটে প্রতিদিন ভরছে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। মাসের হিসাবে এই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৪৯ কোটি এবং বছরে ৫৯৪ কোটি টাকা! মূলত লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল বা ডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণেই এ খাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে বলে দাবি জাহাজ মালিকদের। শুধু বাড়তি খরচ নয়; বুকিং পেতেও পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
এ কারণে ১৯ ডিসেম্বর প্রায় ২৫০টি জাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামভিত্তিক মালিকরা আলাদা হয়ে গঠন করছেন নতুন সংগঠন ‘ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগং (আইভোয়াক)’। এই সংগঠনের মাধ্যমে জাহাজ বুকিংয়ের নতুন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা। কিন্তু তাদের এ কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডব্লিউটিসির অধীন সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিভোয়া) বিরুদ্ধে। আইভোয়াক নেতারা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের বুকিং দেওয়া চারটি জাহাজে গত বুধবার হামলা চালিয়েছে বিসিভোয়া নেতাদের পাঠানো সন্ত্রাসীরা। তবে বিসিভোয়ার দাবি, নিয়ম না মেনে জাহাজ বুকিং দেওয়া ও বকেয়া রাখায় কিছু জাহাজে বাধা প্রদান করছে তারা। এটা নিয়ে বিসিভোয়া ও আইভোয়াক এখন মুখোমুখি।