কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে!

যুগান্তর ড. মাহবুব উল্লাহ প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪০

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক বোমাটি ফাটিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশকে স্থিতিশীল রাখার পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই বিএনপি নেতাদের জেলে রাখা হয়েছে। তাদের নির্বাচনে আসার জন্য বারবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এক রাতে সব নেতাকে মুক্তির প্রস্তাবেও বিএনপি রাজি হয়নি।


বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি গত রোববার সম্প্রচারিত হয়। পরদিন সোমবার বেশ কটি জাতীয় দৈনিকে খবরটি গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হয়।


বিএনপিকে ভোটে আনতে সরকার চেষ্টা করেছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপি নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে বিএনপি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। বারবার নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, তারা যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে। শুধু পিছিয়ে দেওয়া নয়; বলা হয়েছিল, তাদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেফতার প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সহিংসতা আটকাতে পরিকল্পিতভাবেই এটা করা হয়েছে। বিশ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার না করলে কি আর হরতালের দিন গাড়ি চলত? গণগ্রেফতার ছাড়া আমাদের কোনো গত্যন্তর ছিল না। যেটা করা হয়েছে, চিন্তাভাবনা করেই করেছি।’


সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান সমুন্নত রেখে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতেই নির্বাচনে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে আওয়ামী লীগের চেষ্টার কমতি নেই’ (সূত্র : সমকাল, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩)।


ড. আব্দুর রাজ্জাকের সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের গোমর ফাঁস হয়ে গেছে। বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে আটকের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এদের গ্রেফতার করা না হলে হরতালের দিন গাড়ি চলত না। কথাটি অত্যন্ত স্পষ্ট। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দিয়ে সম্ভাব্য শক্তিশালী আন্দোলন ঠেকিয়ে দিয়েছে সরকার। ২৮ অক্টোবর যে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, তা ছিল সমকালীন ইতিহাসে একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী। দিনের পর দিন অবিচার, অত্যাচর ও নির্যাতনের ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা দিশাহীন হয়ে পড়েছিল। তারা বারবার চেষ্টা করেছে ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু সরকারের জেল-জুলুম, লাঠি-গুলি, গুম-খুনের অভিঘাত মোকাবিলা করা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছিল। ঘরছাড়া পালিয়ে বেড়ানো বিএনপি কর্মীদের অনেকে জীবন-জীবিকার জন্য ঢাকা শহরে রিকশাচালকের কাজ নিয়েছিল। এতে দুদিক রক্ষা পেয়েছিল। একদিকে ক্ষুধার অন্ন জোগানো, অন্যদিকে পুলিশ ও গোয়েন্দার চোখে ধুলো দেওয়া। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার রাজপথে এ রকম বেশকিছু কর্মীর সাক্ষাৎ পেয়েছেন। সভা-সেমিনারে এ কর্মীদের দুর্দশা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। সংবাদপত্রে এ সংবাদ ছাপা হয়েছে। অতি সংবেদনশীল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে অশ্রুসজল হওয়াটাই স্বাভাবিক।


আমরা যখন বামপন্থি রাজনীতি করতাম, তখন কমরেড আবদুল হক একটি কবিতার দুটি ছত্র আবৃত্তি করে শোনাতেন। ছত্র দুটি ছিল-কমরেড মানে বিরাট হৃদয় লোক/কমরেড মানে অগ্নিগর্ভ চোখ। কমরেড হতে হলে হতে হয় বিশাল হৃদয়ের মানুষ। যে হৃদয়ে ঠাঁই নিয়ে আছে মানুষের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। তেমন মানুষের চোখ দিয়ে নির্গত হয় ক্ষোভ ও প্রতিবাদের অগ্নিচ্ছটা। মির্জা ফখরুল তার কমরেডদের জন্য তেমন আবেগই প্রকাশ করেছেন। কোনো কোনো পত্রিকার কলাম লেখক এতে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, একজন রাজনীতিবিদ কি করে ছিচকাঁদুনে হতে পারেন। আমি তাদের প্রশ্ন করব রাজনীতিবিদ হলে কি নির্দয় নিষ্ঠুর হতে হয়? এমন নির্দয় নিষ্ঠুর রাজনীতিবিদরা পরিণত হন ডিক্টেটর কিংবা স্বৈরশাসকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও