ম্যান্ডেলার লড়াইকে কি পূর্ণতা দিতে পারবে ফিলিস্তিনিরা
১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কারাগার থেকে মুক্তির ১৬ দিন পর নেলসন ম্যান্ডেলা জাম্বিয়ার রাজধানী লুসাকায় যান। তখন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) নির্বাসিত নেতৃত্ব সেখানে ছিলেন। জাম্বিয়ার কেনেথ কাউয়ান্দা থেকে জিম্বাবুয়ের রবার্ট মুগাবে—এএনসির প্রতি সহানুভূতিশীল নেতারা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতাকে বিমানবন্দরে অভিবাদন জানান, করমর্দন করেন।
কিন্তু এসব বরেণ্য নেতার ভিড়ে সবচেয়ে আবেগময় দৃশ্য ছিল, যখন কেফিয়াহ পরা ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত তাঁকে আলিঙ্গন করলেন। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা ম্যান্ডেলা মুখটা তাঁর দিকে নিচু করে দিলেন। তাঁর গালে চুমু খেলেন আরাফাত।
আরাফাতের এই ভালোবাসার জবাব দিতে দেরি করেননি ম্যান্ডেলা। তিন মাস পর আলজিয়ার্সে এক সম্মেলনে ফিলিস্তিনের বিখ্যাত কেফিয়াহ পরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তখন এটা ঠিক পরিষ্কার ছিল না, তিনি এটি কোথায় পেয়েছিলেন? অথবা ওই দিন কেন তিনি এটি পরলেন? ম্যান্ডেলা এমনি এমনি এটি পরবেন, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ, পোশাক পরিধানের ব্যাপারে তিনি খুব সচেতন ছিলেন।