সন্দেহের বশে গ্রেপ্তার, স্বজনদের জানানো হচ্ছে না

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০৬

রাজধানীর তিতুমীর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ হেলাল থাকেন কামরাঙ্গীরচর এলাকায়। গত ২৮ অক্টোবর সকালে লালবাগ এলাকায় আসার পর তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় লালবাগ থানা পুলিশ। সেদিনই তাঁকে ভবঘুরে ও অভ্যাসগত অপরাধে জড়িত অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৫ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


৯ দিন কারাভোগের পর গত ৬ নভেম্বর আদালত হেলালকে জামিন দেন। পরদিন তিনি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী ফজলুল হক শেখ প্রথম আলোকে বলেন, যে ছেলেটির সুনির্দিষ্ট পরিচয় আছে, যে ছেলেটি সেদিন বারবারই বলেছিল, তিনি তিতুমীর কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরও পুলিশ বিনা পরোয়ানায় তাঁকে ভবঘুরে হিসেবে গ্রেপ্তার করল। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।


লালবাগ থানার পুলিশ আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, হেলালের বিরুদ্ধে বিরূপ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তাহলে একজন নিরপরাধ ছাত্রকে ভবঘুরে হিসেবে গ্রেপ্তার করা হলো কেন? এ প্রশ্নের জবাবে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সন্দেহের ভিত্তিতে হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।


শুধু হেলাল নন, গত ২৮ জুলাই থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে অন্তত ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অভিযোগ হলো, এরা ভবঘুরে, অভ্যাসগত অপরাধী ও আমলযোগ্য অপরাধের ষড়যন্ত্রে জড়িত।


গ্রেপ্তার হওয়া অন্তত ৫০ জন ব্যক্তির আইনজীবীর সঙ্গে প্রথম আলো কথা বলেছে। তাঁরা জানান, সুনির্দিষ্ট পেশা থাকার পরও ভবঘুরে হিসেবে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও জানানো হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও