লাভের আশায় ব্যক্তি পর্যায়ে বাড়ছে ডলার মজুত
ব্যবসা-বাণিজ্যে ডলার লেনদেন হয় শুধু অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরভিত্তিক। দেশের বাইরে যাওয়ার সময় মানুষ ব্যাংক বা খোলাবাজার থেকে নগদ ডলার কিনে নিয়ে যায়। এর বাইরে সাম্প্রতিক সময়ে একটি শ্রেণি বিনিয়োগের উপাদান হিসেবে বেছে নিচ্ছে ডলারকে। সংকটের কারণে দর বাড়বে– এ আশায় তারা নগদ ডলার কিনে ঘরে রাখছে। এ প্রবণতা বেড়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন গুজবে গত সপ্তাহে খোলাবাজারে প্রতি ডলারে ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ১২৭ টাকায় উঠেছিল। অবশ্য গতকাল তা ১২৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদিও ব্যাংকে ১১৪ টাকা এবং মানিচেঞ্জারগুলোর জন্য নগদ ডলার বিক্রির সর্বোচ্চ দর ১১৭ টাকা ধার্য করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, নগদ ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকের মতো মানিচেঞ্জারগুলোর জন্যও একটি দর ধার্য করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মানিচেঞ্জারস অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডেকে বলা হয়েছে, ১১৫ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকায় বিক্রি করতে হবে। আর ব্যাংকগুলো ১১৩ টাকায় নগদ ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১৪ টাকায় বিক্রি করতে পারে। তবে এ দরে ডলার মিলছে না। বেশির ভাগ ব্যাংকে এখন নগদ ডলার পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। এ ছাড়া বিদেশি বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউসের বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এক বৈঠকে প্রণোদনাসহ রেমিট্যান্সে ১১৬ টাকার বেশি দর অফার না করার অনুরোধ করেছে।