পদোন্নতির উৎসব ভোটের আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচের তফশিল ঘোষণার আগেই সরকার প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছে। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ভোটের আগে গত কয়েক মাসে এই তিন ক্যাডারের বিভিন্ন পদে ১৬০৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বেশ ‘উদার’ভাবেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও মেধাবী কিছু কর্মকর্তা বঞ্চিত হওয়ায় প্রায় পুরো বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তালিকার শেষদিকের কর্মকর্তারা নতুন পদে যাওয়ার আনন্দে ভাসলেও, অনেক মেধাবী বঞ্চিত হওয়ার কষ্টে জর্জরিত। প্রশাসন বিশ্লেষকরা বলেছেন, এটা নতুন নয়। মেধাবীদের বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা পুরোনো। তাদের মতে, পদোন্নতির সময়টা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠতে পারে। সামনে নির্বাচন, এ সময় পদোন্নতি নিয়ে মানুষ ভাবতেই পারে সরকার এদের হাতে রাখার জন্য খুশি করতে শেষ সময়ে এত আয়োজন। তবে সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যায় পদোন্নতির যৌক্তিকতা উঠে এসেছে।
জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, পদ শূন্য থাকলে এবং পদোন্নাতি পাওয়ার যোগ্য কর্মকর্তা থাকলে তা দিতে কোনো সমস্যা নেই। এমন কি নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরও যদি পদ থাকে এবং পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা থাকে তাকে পদোন্নতি দিতে হবে। কিন্তু পদ নেই তারপরও পদোন্নতি দেওয়া উচিত নয়। সুপারনিউমারারি পদে কখনই পদোন্নতি দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন এই সাবেক আমলা।
জানা গেছে, মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন ক্যাডারের বিভিন্ন পদে পদোন্নতি হয়। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের অতিরিক্ত সচিব পদে ১১৪, যুগ্মসচিব পদে ২২১, উপসচিব পদে ১৭৮ কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়। এতে উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২৯তম ব্যাচের প্রথমসহ বেশ কিছু মেধাবী কর্মকর্তা বঞ্চিত হয়েছেন।