মানবাধিকার সরকারের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ব্যবস্থা ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষন পদ্ধতির আওতায় আগামীকাল ১৩ নভেম্বর চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচিত হতে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়া ২০০৬ সালে চালু হয়েছে।
২০০৯ সালে প্রথমবার, ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বার বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ার আওতায় পর্যালোচিত হয়েছে।
মূলত মানবাধিকার পরিষদ এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রতি সাড়ে চার বছর পর পর পর্যালোচনা করে থাকে। পর্যালোচনায় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সুপারিশ করে। জাতিসংঘের অন্যান্য মানবাধিকার ব্যবস্থার তুলনায় বিভিন্ন রাষ্ট্রসহ অংশীজনদের কাছে এ প্রক্রিয়াটির অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
তিনটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেগুলো হচ্ছে:
১. সরকার প্রদত্ত জাতীয় প্রতিবেদন।
২. জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্যের সমন্বয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রস্তুতকৃত সংকলন।
৩. জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেওয়া প্রতিবেদনগুলো থেকে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রস্তুতকৃত সংকলন।
এই প্রতিবেদনগুলো থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজস্ব অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে সুপারিশ প্রদান করে থাকে। মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের দেওয়া সুপারিশগুলো সমর্থন করতে পারে কিংবা নোটেট রাখতে পারে। যার অর্থ এই সুপারিশগুলো সরকার এই মুহূর্তে সমর্থন না করলেও ভবিষ্যতে সমর্থন করার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ইতোমধ্যে এই পর্যালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য সরকার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলো প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এগুলো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।