বিএনপির অবরোধ চলার মধ্যে ঢাকার প্রধান বাস টার্মিনাল গাবতলীতে কোটালিপাড়া স্টার এক্সপ্রেসের কাউন্টারের সামনের বেঞ্চে বিমর্ষ মুখে বসেছিলেন মধ্যবয়সী নূর খান।
বাসের জন্য ডাকাডাকি করে যাত্রী জুটিয়ে দেওয়া তার কাজ। এজন্য কাউন্টার থেকে মজুরি দেওয়া হয় দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। বাস বন্ধ থাকলে মজুরিও বন্ধ।
তবুও অবরোধের প্রতিটি দিনই গাবতলীতে এসে বসে থাকেন নূর খান, আশা যদি কোনো গাড়ি ছাড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নূর খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলছিলেন, “আইজকা সকালে একটা গাড়ি ছাড়ছে। আইজ হয়ত একশটা টেকা পামু। যেইদিন গাড়ি যায় নাই সেইদিন কুনো টেকাই পাই নাই।”
দুই ছেলে মেয়ে তার। ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। অবরোধের মধ্যে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে চলার মতো টাকা রোজগার করতে পারেননি; বিমর্ষ ছিলেন সারাদিন।