সংকটেও হচ্ছে পার্ক নির্মাণ

যুগান্তর প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে বর্তমান সরকারের শেষ একনেক বৈঠক বসছে বৃহস্পতিবার। সেখানে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ৪২ প্রকল্প অনুমোদনের প্রস্তাব উঠছে। এগুলোর মধ্যে নিয়মিত প্রকল্প আছে ৩৬টি, ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া শুধু মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য রয়েছে একটি এবং ৫০ কোটি টাকার নিচে ব্যয় হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুমোদিত প্রকল্প ৫টি। এছাড়া আর্থিক সংকটের মধ্যেও তড়িঘড়ি করে শেরেবাংলা নগরে পার্ক নির্মাণ প্রকল্প উপস্থাপন করা হচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।


পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলমান সংকটের সময়ে উচ্চ অগ্রাধিকারের প্রকল্প ছাড়া অনুমোদনের সুপারিশ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে সরকারের। বিভিন্ন সময় এমন কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানও। কিন্তু এর মধ্যেই ‘ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় পার্ক নির্মাণ’ নামের একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হচ্ছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে। ৬ নভেম্বর প্রকল্পটি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। এর একদিনের মাথায় ত্বরিতগতিতে ৭ নভেম্বর একনেকের তালিকায় প্রকল্পটি যুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা একে তো পার্ক নির্মাণ, যেটি পরেও করা যায়; তার ওপর এত তড়িঘড়ি করে প্রক্রিয়াকরণ করার পেছনের কারণ কী? প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, এর আওতায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে নির্মাণ করা হবে পার্ক। এজন্য ১০৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকাবাসী পাবে একটি নতুন পার্ক। শিশুরা মন খুলে বেড়াতে পারবে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশের মানোন্নয়ন ঘটবে। পাশাপাশি স্থপতি লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী ফাঁকা স্থানে লেক, সবুজ স্থান এবং শিশুদের জন্য রাইড, বিশ্রামের জন্য বসার স্থানসহ নান্দনিকভাবে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কথা হয় পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সঙ্গে। মঙ্গলবার তিনি যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পটির প্রস্তাব বেশ আগেই এসেছিল। এর মাঝে বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। কয়েকবার প্রি-একনেক সভাও হয়েছে। তাই ৬ নভেম্বরের পিইসি সভাটি ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্পের ব্যয় খুব বেশি নয়। এছাড়া জায়গাটি খোলা পড়ে আছে। এখনো যে কোনো সময় অন্য স্থাপনা হয়ে যেতে পারে। সেখানে যদি একটি পার্ক হয়, তাহলে রাজধানীবাসীর জন্য অনেক ভালো হবে। সেই চিন্তা থেকেই অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। তাড়াহুড়া হলেও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে প্রকল্প প্রস্তাব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও