‘যাত্রাপালা ফিরে পাবে হারানো জৌলুশ’
চারপাশে দর্শক। মাঝখানে মঞ্চ। মঞ্চের দুই পাশে বসেছে যন্ত্রশিল্পীরা। একসময় শোনা গেল নানা বাদ্যযন্ত্রের সুর। বাঁশি, ঢোল, করতালের আওয়াজের সঙ্গে শিল্পীর উচ্চকণ্ঠের ময়দান কাঁপানো সংলাপে যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ খেলে যায় দর্শক-শ্রোতাদের মনে। মুহুর্মুহু করতালির শিল্পকলা একাডেমি চত্বর প্রতিধ্বনিত হয় যাত্রার প্রতি দর্শকদের ভালো লাগা ও ভালোবাসার কথা। দর্শকের উল্লাসে কুশীলবেরাও যেন নতুন করে প্রাণ পান এবং অনুপ্রাণিত হন অভিনয়ে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনাশিল্প যাত্রাকে বেশ কয়েক বছর ধরেই টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অতীতে এই শিল্পের যে বিত্তবৈভব ছিল, তা এখন ম্রিয়মাণ। প্রশাসনিক অনুমতির বিড়ম্বনা, শিল্পীদের উপযুক্ত সম্মানী না পাওয়া, ভাড়াটে শিল্পীদের অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনাসহ নানা জটিলতায় ধুঁকছে যাত্রাশিল্প। সেই প্রেক্ষাপটে যাত্রাপালার গতি সঞ্চারে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সেই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে একাডেমির আয়োজনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- যাত্রাপালা