বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা এবং রাজনীতির কলঙ্কযাত্রা

www.ajkerpatrika.com মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৭

৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় সংঘটিত হয়েছিল এই দিনে।


১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।


১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে গঠিত খুনিদের সরকার। তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ ও বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি কর্নেল (বহিষ্কৃত) সৈয়দ ফারুক রহমান ও লে. কর্নেল (বহিষ্কৃত) খন্দকার আব্দুর রশিদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।


এ কাজের জন্য তাঁরা আগেভাগে ঘাতক দল গঠন করেন। দলের প্রধান ছিলেন রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন। তিনি ছিলেন ফারুকের সবচেয়ে আস্থাভাজন। ১৫ আগস্ট শেখ মনির বাসভবনে যে ঘাতক দলটি হত্যাযজ্ঞ চালায়, সেই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুসলেহ উদ্দিন। সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তাঁর ‘বাংলাদেশ আ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরপরই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি এমনভাবে নেওয়া হয়েছিল, যাতে পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তা আপনা-আপনি কার্যকর হয়। এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্যের ঘাতক দলও গঠন করা হয়।


ঘাতক দলের প্রতি নির্দেশ ছিল, পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটার সঙ্গে সঙ্গে কোনো নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও