তিনি ছিলেন জলবায়ু ন্যায্যতার প্রতীক

দেশ রূপান্তর নাজমুল আহসান প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৬

স্বল্প পরিসরে হলেও প্রফেসর সালিমুল হকের কাজের সঙ্গে আমার যুক্ত থাকার সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশে জলবায়ু ন্যায্যতার আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি। দীর্ঘ তিন দশক ধরে তিনি পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেন-দরবারে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব জনমত গড়ে তোলা ও উন্নত দেশকে জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। অনেক ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ হয়ে যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেনদরবার করতেন তাদের উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করতেন তিনি। তার দীর্ঘ কর্মজীবনে জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ও গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে কাজ করেছেন। জানা যায়, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে তিনি পরামর্শকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তঃসরকারি প্যানেলের (আইপিসিসি) অভিযোজন সম্পর্কিত প্রতিবেদন তৈরিতে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা ছিল। এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশমনের পাশাপাশি অভিযোজন একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।


অভিযোজন করতে পারার একটা সীমা আছে তাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠন সম্পর্কিত আলোচনায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তিনি সক্রিয় প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি মনে করতেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার আছে। উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠন কখনো অগ্রাধিকার ছিল না। প্রফেসর হক এক্ষেত্রে সবসময়ই সচেষ্ট ছিলেন। তাদের প্রচেষ্টার ফলে ২৭তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন, শারম-আল-শেখে বিশ্ব-নেতারা জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠনে একমত হন। তিনি ছিলেন আসছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮) প্রেসিডেন্সির একজন উপদেষ্টা এবং তিনি এই সম্মেলনে ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রত্যাশায় ছিলেন।


জাতিসংঘের নবগঠিত বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের বাহ্যিক সদস্য ছিলেন প্রফেসর সালিমুল হক। বিজ্ঞানের জগতে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার পেছনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একটি তালিকা গত বছর প্রকাশ করে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’। দশজনের এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম ছিল। ৭১ বছর বয়সে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবি-এর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএড)-এর পরিচালক ছিলেন। একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে বিষয়গত ধারণার পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অভিজ্ঞতা তার কাজের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলায় তিনি সর্বদা নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসতেন এবং সে পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে কীভাবে ক্ষমতায়ন করা যায় সে নিয়ে ভাবতেন। ক্ষয়ক্ষতি তহবিল নিয়ে তার কাজ শুধু  জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিই নয়, অর্থনীতি-বহির্ভূত ক্ষয়ক্ষতিকেও আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছেন। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও