আওয়ামী লীগ কি ‘বিভ্রান্ত’?
আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি কারণ এই দলটি একজন বঙ্গবন্ধু আর একজন শেখ হাসিনা দিয়েছে। আবার আমি অনেকটা অসহায়ের মতো বাধ্য; কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া আমার আবেগকে বুঝতে বা ধারণ করতে পারবে তেমন কোনও রাজনৈতিক শক্তি নেই। আমি নিশ্চিত আমার মতই অবস্থা এদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অনেক মানুষের।
যারাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করবে তাদের কাছে প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করার আর কোনও বিকল্প জন্ম হয়নি। এখন এই অসহায়ত্ব কি আওয়ামী লীগ ধারণ করে নাকি সুযোগ নিতে চায়?
এই দলটি ক্ষমতায় আছে গত ১৫ বছর ধরে। আমি এর আগের বিচ্ছিন্ন বছরগুলোকে হিসেবে নিচ্ছি না কারণ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসা দলটি এক পালটে যাওয়া নেতার নেতৃত্বে এগিয়েছে। বলা হয়, আওয়ামী লীগ হারলে বা থেমে গেলে গোটা বাংলাদেশ হেরে যায়। এর প্রমাণ আমরা পেয়েছিলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই। তীব্র বাসনায় এগিয়ে চলার কথা যে দেশটির সেই দেশ তীব্র বেগে পিছিয়েছে অন্ধকারের দিকে। সেই অন্ধকার থেকে বলা যায় একদম একা হাতে দেশটাকে টেনে এনে শুধু রাজপথে নয়, বিশ্বের পথে এনে দাঁড় করিয়েছে আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
আর এই একটি কারণেই আমার মতো প্রগতিমনা যারা নাগরিক আছেন তারা শেখ হাসিনাকে নিজেদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন। একজন শেখ হাসিনার চোখ দিয়ে আজকে আমরা স্বপ্ন দেখছি বিশ্বজয়ের। স্বপ্ন দেখছি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজের পরিচয়কে পোক্ত করার। বিশ্ব নেতৃত্বের তালিকায় এখন বাংলাদেশের শেখ হাসিনার নামও পাওয়া যায়। এ এক পরম পাওয়া আমাদের জন্য।
কিন্তু মাঝেমাঝেই সন্দেহ জাগে, আওয়ামী লীগের বাকি নেতারা কি আমাদের এই অন্ধ আবেগের সুবিধা বা ফায়দা নিতে চাইছে? নাকি নিজের অবস্থানকে সন্তোষজনক করার অপচেষ্টা হিসেবে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত রাখতে চাইছে?