‘মার খেতে হবে, মানুষকে মার খেতেই হবে’

প্রথম আলো আনিসুল হক প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:১৩

অগ্রহায়ণ এলে আমার মন কেমন করে! কমলা রঙের রোদ দেখতে পাই। মনে হয়, ফিরে গেছি শৈশবে, রংপুরে; মনে হয়, সেই যে খাকি রঙের প্যান্ট, সাদা শার্ট, স্পঞ্জের স্যান্ডেল পরে হাতে বইখাতা নিয়ে বিকালবেলা জিলা স্কুল থেকে হেঁটে হেঁটে ফিরছি বাসায়; পথে পড়ল জুনিয়র ট্রেনিং কলেজ; তার মাঠ, লিচুগাছগুলো পেরিয়ে আরেকটু হেঁটে শ্যামাসুন্দরী খালের দিকে যাচ্ছি; চোরকাটা ভরা সরু হাঁটাপথ, ফনিমণসার ঝোপে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে; শটিবন, ফিরোজা রঙের পাতাওয়ালা একটা কাঁটাগাছের গুল্মে হলুদ রঙের ফুল, আর সাদা সাদা মধুফুলের গাছ, ফড়িং উড়ছে, প্রজাপতিগুলো পাখা বন্ধ করছে খুলছে, একটা বেজি মাথা উঁচু করে তাকিয়ে আছে শটিবনের ধারে, অলস গরু শুয়ে আছে, তার পিঠে দুটো ফিঙে কি কাদাখোচা পাখি; মাঠ জুড়ে শুয়ে আছে রোদ, অনেক কমলা রঙের রোদ; বিশাল গাভির মতো শুয়ে আছে রোদ... শ্যামাসুন্দরীর শুকনো খাল পেরিয়ে যাব; তারপর পিটিআই। সেটার দোতলায় আমাদের বাসা। মোছা মেঝে ঠান্ডা হয়ে আছে। বড়আম্মা চুল ছেড়ে দিয়েছেন, নারকেল তেল মাখছেন। নারকেল তেলের গন্ধ ঘর জোড়া। কদিন পর নারকেল তেলের শিশিতে তেল জমতে শুরু করবে। বারান্দায় রোদে দিতে হবে সেই তেল। ছোটআম্মা নামাজ পড়তে যাবেন বিছানা থেকে উঠে শাড়ি সামলাচ্ছেন। আব্বা রেডিওতে ভাওয়াইয়া গান শুনবেন বলে নব ঘোরাচ্ছেন।


হাঁটু পর্যন্ত ধুলো। আম্মা বলবেন, হাতমুখ ধো। মাদুরে কিংবা পিঁড়িতে বসে পড়লে সামনে আসে গরম দুধ। হয়তো বা খই। লাল গুড় মেখে খেতে খেতে মনে পড়ে, চালের বস্তায় জঙ্গল থেকে পেড়ে আনা আতা রেখেছি। পাকল কি?


সকালবেলা এই মাঠে হলুদ বিবর্ণ ঘাসে শিশিরবিন্দু সত্যি মুক্তোর মতো ঝকঝক করত। আমাদের নিজেদের হাতে গড়ে তোলা বাগানে ছোট ছোট কপির চারা, প্রতিটা চারার পাশে আবার কলাগাছের বাকলের শেড। সেই ছোট ছোট চারার গায়ে সকালে শিশির জমে আছে।


এই শীত শীত সন্ধ্যা, কামিনি ফুলের মাদকতাভলা ঘ্রাণ; আকাশে চাঁদ, কার্তিকের চাঁদ; ভোরবেলা শিউলিতলায় গিয়ে কোছা ভরে ফুল কুড়িয়ে আনা। শিশিরমাখা ফুলে জামা ভিজে সারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও