পুরুষের ত্বকে কি বয়সের ছাপ আগে পড়ে? যা করবেন
‘পুরুষ মানুষের গায়ের রং একটু শ্যামলা হলেই ভালো’। আমাদের এই অঞ্চলে কথাটি বহুল ব্যবহৃত। তবে শ্যামলা হলেই ভালো—এই কথার অজুহাতে পুরুষেরা পারসোনাল হইজিন বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে নারীদের তুলনায় কিন্তু খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন। আর তাই তাঁদের ত্বকের সমস্যাও জটিল। এই অযত্নের কারণে পুরুষের ত্বক বার্ধক্যজনিত সমস্যায় পড়ে আগে। স্নানের সময় একবার শ্যাম্পুর বোতল আরেকবার সাবানের দিকে তাকিয়ে চুলে আর গায়ে পানি ঢেলে ফেললেই ত্বকের ধুলোময়লা কেটে যাবে—এ কথা ভাবার দিন ফুরিয়েছে।
যদি চলতি হাওয়ার ফিরিস্তি দিই তাহলে বলতে হবে, বছরের এই সময়টা মানে হেমন্ত থেকে একেবারে বসন্ত পর্যন্ত বাতাসে ধুলোবালুর পরিমাণ বাড়তি থাকে। শরতে বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় অনেক বেশি। প্রচুর ঘাম হয়, ধুলোবালুর কারণে ত্বকে দেখা দেয় ব্রণ। তা ছাড়া ডিপ ক্লিনের অভাবে রোমকূপে ময়লা জমে ব্ল্যাকহেডস ও র্যাশ দেখা দেয়। আবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করার কারণে ত্বকের অতিরিক্ত রুক্ষতার সমস্যা তো রয়েছেই। সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখাও পড়ে যাচ্ছে আগ বাড়িয়ে। কম যত্নের কারণে পুরুষের ত্বকে এজাতীয় সমস্যা বেশি থাকে। ফলে সামান্য ব্রণ ও ব্রণের দাগ সেরে উঠতে না উঠতেই দেখা দেয় আরও একটি ব্রণ বা র্যাশ। শুধু ত্বকের সমস্যাই নয়। নিয়মিত শ্যাম্পু না করার কারণে বা ভালোভাবে শ্যাম্পু না করার কারণে মাথার ত্বক ও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আবারও বলতে হচ্ছে, পুরুষ বলেই নামমাত্র সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন—এমনটা না ভাবাই ভালো। ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন।