বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ধীরগতি
ধীরগতি বিরাজ করছে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মীরসরাই-প্রথম পর্যায়’ প্রকল্পে। প্রকল্প হাতে নেওয়ার সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত ভৌত বা বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ শতাংশ আর আর্থিক আরও কম অর্থাৎ ৫৭ দশমিক ২২ শতাংশ হয়েছে। এতে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। তবে এর জবাবে তারা জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারের কাজে অনীহাসহ নেপথ্যে রয়েছে ৬টি কারণ। ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পিআইসি (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি) সভায় বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৭৫০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ২০২২ সালে প্রথম সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩০২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। তবে এখন শেষ পর্যায়ে এসে প্রকল্পটির ব্যয় কমছে ১০৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এটির সমাপনী ব্যয় হিসাবে ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৯৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এছাড়া প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এর মধ্যে কাজের অগ্রগতি কম হওয়ায় এ সংশোধনীতে দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও বাস্তবায়ন আশাব্যঞ্জক নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, জিনিসপত্রের দাম এখন অনেক বেড়েছে। এ রকম বাস্তব নানা কারণেই প্রকল্পটির গতি একটু কম। মানহীন কাজ করার চেয়ে ধীরে কাজ করাটাই ভালো। আমরা মানসম্মতভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছি।