দানবীয় আকার নিয়েছে ওজোন স্তরের ছিদ্র, পৃথিবীর জন্য দুঃসংবাদ
প্রাণিজগৎকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষার ঢাল বলা হয় পৃথিবীর ওজোন স্তরকে। ১৯৮০ সালের দিকে ধারা পড়ে, মানুষের সৃষ্ট অতিমাত্রার রাসায়নিক ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি গ্যাসের কারণে ওজোন স্তরের বিভিন্ন জায়গায় ফুটো তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ফুটোটি দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ গোলার্ধের অ্যান্টার্কটিকা অংশে।
বিভিন্ন গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন, উত্তর গোলার্ধে ছিদ্র অংশটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে ২০৩০ সাল নাগাদ আর অ্যান্টার্কটিকা অংশে সময় লেগে যেতে পারে ২০৬০ পর্যন্ত। কিন্তু হয়েছে এর উল্টো।
বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ডাটা পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অ্যান্টার্কটিকা অংশের ফুটো তো ভরেইনি, উল্টো ক্রমে তা দানবীয় আকার নিচ্ছে। এই ছিদ্র বড় হতে হতে এখন এক কোটি ৩০ লাখ বর্গমাইল (২ কোটি ৬০ লাখ কিলোমিটার) ছাড়িয়েছে; যা আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলের আকারের অন্তত তিন গুণ।