ঢাকায় এলোপাতাড়ি গুলি, দুই পক্ষের সংঘর্ষে যাঁদের মৃত্যু
আর পাঁচটা দিনের মতোই কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন ভুবন চন্দ্র শীল, যেমন ফেরে রাজধানীর লাখো মানুষ। উঠেছিলেন ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেলে। ঢাকার তেজগাঁও পার হওয়ার সময় একটি গুলি এসে লাগে তাঁর মাথায়।
যে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছিল, তাদের সঙ্গে ভুবনের কোনো বিরোধ ছিল না। কিন্তু তাদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতেই সাত দিন হাসপাতালে অচেতন থেকে গত সোমবার প্রাণ হারান ভুবন। ভুবনহীন পৃথিবীতে তাঁর স্ত্রী রত্মা রানী শীল, মেয়ে ভূমিকা রানী শীল অসহায় হয়ে পড়লেন। ৭৫ বছর বয়সী মা গিরিবালা শীল হারালেন একমাত্র ছেলেকে।
অথচ কথা ছিল, মোটরসাইকেলে ভুবন চন্দ্র শীল দ্রুত বাসায় ফিরবেন। ফিরে হয়তো স্ত্রীকে ফোন করতেন, মায়ের ও মেয়ের খোঁজ নিতেন।
ভুবনের মতোই বাসায় ফিরছিলেন কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান ওরফে প্রীতি (২২)। ২৪ মার্চ ২০২২, ঢাকার শাহজাহানপুরে সন্ত্রাসীদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণ হারান সামিয়া। ২০১০ সালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিক।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বিরোধ
- গুলিতে নিহত
- সন্ত্রাসীর গুলি