মূল্যস্ফীতির সময়ে কেন এ গাড়িবিলাস?

যুগান্তর মুঈদ রহমান প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৭

মানুষকে নিয়েই সমাজ, আর সমাজকে নিয়ে রাষ্ট্র। একটি সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সমাজের অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেককেই অবদান রাখতে হয়। তাই সমাজের সুবিধাভোগের বেলাতেও সবাই অধিকারের প্রশ্ন তুলতে পারে এবং তা দাবি করতে পারে।


কোনো কোনো সমাজে, কোনো কোনো সময় বিপর্যয় নামতে পারে, এটি আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু যা আমরা মানতে পারি না, তা হলো, সামাজিক বিভাজন। একটি সমাজের উৎপাদন কাজে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে বলা হবে, আর সুবিধাভোগের ক্ষেত্রে একটি ক্ষুদ্র শ্রেণিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। সামাজিক সুবিধা ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টিত হওয়া উচিত। সবচেয়ে বেদনার কথা হলো, এ ‘উচিত’ কর্মটি আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হয় না। আজকের এ বিভাজিত ও বৈষম্যমূলক সমাজে একদিকে একটি বড় অংশ ভোগান্তির মধ্যে জীবনযাপন করছে, আর অপর ক্ষুদ্র অংশটি বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। সমাজের এ বৈপরীত্য আমাদের পীড়া দেয় এবং মাঝে মধ্যে বিক্ষুব্ধ করে তুলতে চায়।


কেমন আছি আমরা? এ প্রশ্নের উত্তর সবার একই হবে-ভালো না। সমাজের একটি বড় অংশের জীবনমান ভালো না হলে তাকে ভালো সমাজ বলা যায় না। একটি ক্ষুদ্র অংশের ভালো থাকাকে সামগ্রিক ভালো বলা যায় না। এ ভালো না থাকার প্রধান কারণ হলো আর্থিক সংকট। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ এখন দিশেহারা। বছরখানেক আগেও সরকারি মহল অত্যন্ত তৃপ্তিসহকারে মূল্যস্ফীতির জন্য করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করে বক্তব্য দিত। এখন তা-ও দেয় না, কেননা, ওই বক্তব্যের সত্যতা ছিল না। দেউলিয়া রাষ্ট্র শ্রীলংকাতে ৭০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি এখন মাত্র ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়ে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে প্রায় ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের পেট খালি থাকলেও চোখ-কান খোলা। তারা দিন-দুনিয়ার খবর রাখেন। তাই মিথ্যা প্রচারণা দীর্ঘস্থায়ী করা দুঃসাধ্য কাজ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও