কিডনি ভালো রাখার ৮ উপায়
কিডনি রোগ হলো নীরব ঘাতক। জীবনের গুণগত মানের ওপর এর অনেক প্রভাব। তবে কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে আছে উপায়।
কিডনি ওয়াশিং মেশিনের মতো শরীরের সব জঞ্জাল রক্তে ফিল্টার করে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। প্রতিদিন এটি ১৮০ লিটার রক্ত ফিল্টার করে। রক্ত প্রতিদিন পরিশোধিত হয় ৫০ বার। এই বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটিকে ঠিক রাখতে মানতে হবে বিশেষ ৮টি সূত্র।
⊲ ফিট ও সক্রিয় থাকতে হবে। দেহের ওজন রাখতে হবে আদর্শ। এতে কমে রক্তচাপ এবং ঝুঁকি কমে কিডনি রোগের। এ জন্য হাঁটা হলো কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
⊲ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এতে দেহের ওজন ঠিক থাকে, কমে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হৃদ্রোগ থাকে নিয়ন্ত্রণে। এ জন্য খাবারে লবণের পরিমাণ কমাতে হবে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না। খাদ্য উপাদানেও লবণ থাকে। প্রসেস করা ও রেস্তোরাঁর খাবার খেতে হবে বুঝে-শুনে। খুব বেশি খাওয়া যাবে না। তাতে লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
⊲ রক্তের সুগার পরীক্ষা করানো এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের বেশির ভাগই জানেন না যে তাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হিসেবেও রক্তে চিনির পরিমাণ দেখা দরকার। মধ্য বয়সে পৌঁছাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ এটি। কারণ, ডায়াবেটিস যাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তাঁদের অর্ধেকের হয় কিডনি রোগ। আর রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে এর ঝুঁকি থাকে কম। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা কিডনি, প্রস্রাবের অ্যালবুমিন ও রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করাবেন।